বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মত সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় আয়োজনহীনভাবে উদযাপিত হল ঈদুল ফিতর। ঈদ উদযাপনে রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠানই আয়োজন হয়নি বৈশি^ক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে। প্রেসিডেন্টের বাসভবন বঙ্গভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে কোন আয়োজন ছিল না।
প্রতি ঈদে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ বাসভবনে জনসাধারণ, বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, বৈদেশিক কূটনীতিক ও বিভিন্ন পেশার মানুষদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। যা দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক বা যিনিই প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তারাই ঈদের দিন জনসাধারণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করা ছাড়াই ভিন্নভাবে উদযাপিত হল ঈদুল ফিতর। নিয়মিত কর্মসূচীর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে উপহার পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া দেশের রাজনীতিবিদরা যেখানে জনগণের সাথে মিলেমিশে ঈদ উদযাপন করে থাকেন তা-ও এবার হয়নি। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বেশিরভাগ নিজ নিজ সরকারি বাসভবনের সামনে ঈদের জামাত আয়োজন করে নামাজ আদায় করেছেন। বাদ বাকি মন্ত্রী এমপিরাও বাসার পাশের মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন এবং জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেননি। বেশিরভাগ এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকায় ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে ঈদের দিন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলেই।
এদিকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যার যার এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নি¤œবিত্ত ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন