শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষাঙ্গন

লক্ষ্য যদি হয় বশেমুরবিপ্রবির সিএসই বিভাগ

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্ম হয় ২০১১ সালে। প্রথম বছর ৩২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হলেও পরবর্তীতে ৫০ জনে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে ৫ম ব্যাচ চলছে, ১১-১২ ব্যাচ বের হয়ে গেছে। বশেমুরবিপ্রবিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি শেষ হয় ৪ বছরের ভেতরেই।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সবদিক থেকেই পরিপূর্ণ ও পরিণত হচ্ছে এই বিভাগ। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ-সুবিধার কোনো কমতি নেই। এই বিভাগ পেয়েছে ‘‘মুক্তিযুদ্ধ ৭১’’ গেম-এর সুপারভাইজার ড. হানিফ সিদ্দিকীর মতো স্যারকে, যাকে বলা হয় দ্বিতীয় জাফর ইকবাল।
বাংলাদেশের একমাত্র এই (সিএসই) বিভাগেই সবক’টি ল্যাবে অ্যাপল- এর কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বশেমুরবিপ্রবির (সিএসই) বিভাগের ল্যাব ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়। বর্তমানে ৭টি ল্যাব নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে (সিএসই) বিভাগ।
যেগুলো : ১. সফটওয়্যার ল্যাব ২. ইলেক্ট্রিক্যাল ল্যাব ৩. কমিউনিকেশন ল্যাব ৪. ডিজিটাল সিগন্যাল ল্যাব ৫. সফটওয়্যার ল্যাব-২ ৬. অ্যাডভান্স কম্পিউটিং ল্যাব ৭. নেটওয়ার্ক ল্যাব।
আরো ৪টি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব বানানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিভাগ ওয়াইফাই আওতাভুক্ত এবং সি সি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। প্রতিনিয়ত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। এত অল্পসময়ের মধ্যে এমন উন্নয়ন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় খুব দ্রুতই উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মানে পরিণত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
সাফল্য : বশেমুরবিপ্রবির যত সাফল্য এসেছে তার প্রায় সবই (সিএসই) বিভাগের হাত ধরে। মাত্র কিছুদিন আগেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে সকল সেরা বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নাসায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩ ছাত্র। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মেলা ২০১৬-এর ঢাকা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন। যা বশেমুরবিপ্রবির (সিএসই)-এর দ্রুত অগ্রগতি প্রমাণ করে। জন্ম থেকেই একের পর এক সাফল্য বয়ে আনছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শাবিপ্রবির সিএসই এরপরই বলা যায় বশেমুরবিপ্রবির (সিএসই)। খুব দ্রুতই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর সেরাদের কাতারে চলে আসবে। বর্তমানে সকল প্রতিযোগিতায় বুয়েট, ঢাবি, জাবি, শাবিপ্রবির সাথে সমানতালে লড়ছে।
এখানকার ছাত্র বাংলাদেশের প্রথম থ্রিডি সিঙ্গেল এনিমেটেড মুভির নির্মাতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেম, ‘‘মুক্তিযুদ্ধ ৭১’’ গেম-এর সহ নির্মাতা, বাংলাদেশের প্রথম বুদ্ধিমান ড্রোন নির্মাণ আবিষ্কার, ড্রোনে সিকিউরিটি আবিষ্কারসহ বিভিন্ন গেম ডেভেলপার, রোবটিক ইঞ্জিনিয়ার, ড্রোন নির্মাণ নির্মাতা, এপস ডেভেলপ করছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোবট বানিয়ে যাচ্ছে ছাত্ররা। সব জায়গায় খুব ভালো ফলাফলও করছে। বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল, জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় ভালো করছে সিএসই বিভাগ। এখানকার সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার অসাধারণ মেধাবী ও হেল্পফুল। প্রতি মাসের বিভাগের শ্রেষ্ঠ ১০ জন প্রোগ্রামারকে পুরষ্কৃত করা হয়। এটা সবাইকে এতই প্রভাবিত করে যে, খারাপ ছাত্ররাও ভালো প্রোগ্রামার হয়ে যায়।
এখানে আছে নিজস্ব সংগঠন : প্রোগ্রামিং ক্লাব ২. রোবটিক্স ক্লাব ৩. ওয়েব ডেভেলপিং ক্লাব ৪. সিনেমাটিক সোসাইটি ৫. গণিত ক্লাব ৬. কালচারাল ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব ও নিজস্ব লাইব্রেরি রয়েছে। যা একজনকে সত্যিকারের বিশ্বমানের কম্পিউটার প্রকৌশলী বানাতে সহায়তা করবে। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ভর্তি হতে চাও তাদের জন্য, এসএসসি ও এইচএসসিতে টোটাল জিপিএ ৬.৫ থাকা লাগবে। বিজ্ঞানের প্রতি সাবজেক্ট-এ মিনিমাম ‘এ’ গ্রেড থাকা লাগবে।
১০০তে পরীক্ষা হবে = ৮০ লিখিত+২০ জিপিএ। পদার্থ ও গণিত =২৫+২৫, রসায়ন ও ইংরেজি =১৫+১৫ গত বছর ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রশ্ন গণিত ভিত্তিক সৃজনশীল ও কঠিন করা হয়েছিল। তাই ভালো প্রিপারেশন নিলে চাঞ্চ পেতে সহায়ক হবে।
ষ তন্ময় বিশ্বাস

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
হাইজেনবার্গ ২২ জুলাই, ২০১৯, ১:৪৯ পিএম says : 0
বিজ্ঞানের সব বিষয়ে 'এ' লাগবে কে বললো!! সাস্টেই তো শুধু ম্যাথ,ফিজিক্সে ৩.৫০ চায়
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন