তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের সব মসজিদ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি মসজিদও অবশিষ্ট নেই। তিনি রোববার দিবাগত রাতে ইস্তাম্বুলে একটি হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এক শতাব্দী আগে আমরা যেসব মসজিদ ও স্থাপনা রেখে এসেছিলাম, সেগুলোকে অল্প সময়ের মধ্যে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরদোগান বলেন, অতীতে মুসলমানেরা কখনোই দেশ দখল করার চেষ্টা করেনি বরং মুসলমানেরা মন জয় করেছে। স¤প্রতি ইস্তাম্বুলের আয়াসোফিয়া মসজিদে কুরআন পাঠের সমালোচনা করে গ্রিস সরকার বক্তব্য দেওয়ার পর এরদোগান এসব কথা বললেন। এরদোগান গ্রিকদের মনে করিয়ে দেন তারা মুসলমানদের মসজিদগুলোকে কীভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল, কিন্তু মুসলমানেরা তা করেনি। খ্রিস্টিয় চতুর্থ শতকে খ্রিস্টান সম্রাট দ্বিতীয় কনস্টান্টিন প্রথম আয়াসোফিয়া মসজিদের স্থাপনাটি নির্মাণ করেন। ৩৬০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘হাজিয়া সোফিয়া’ গির্জা নামে এই স্থাপনা খ্রিস্টানদের উপাসনার জন্য খুলে দেয়া হয়। ৪০৪ খ্রিস্টাব্দে কনস্টান্টিনোপলে সৃষ্ট দাঙ্গায় এই গির্জার একাংশ ভস্মীভ‚ত হয়। পরবর্তীতে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে এটিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় এক হাজার বছর এটি খ্রিস্টানদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৎকালীন বাইজান্টাইন সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে কনস্টান্টিনোপলের নিয়ন্ত্রণ নেন দ্বিতীয় মুহাম্মাদ খ্যাত ওসমানীয় শাসক সুলতান মোহাম্মাদ ফাতেহ। তিনি কনস্টান্টিনোপলের নাম পরিবর্তন করে ইস্তাম্বুল রাখেন এবং ‘হাজিয়া সোফিয়া’ গির্জাকে ‘আয়া সোফিয়া’ মসজিদে রূপান্তর করেন। ১৯৩৫ সালে তৎকালীন তুর্কি প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্ক মসজিদটিকে যাদুঘরে রূপান্তর করেন। এরপর থেকে এখানে নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ ছিল। আনাদোলু,পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন