দক্ষিণাঞ্চলের হটস্পট বরিশালে করোনা সংক্রমণ আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে আরো ১ জনের মৃত্যু সহ মোট আক্রান্ত ৭০ জনের মধ্যে ৬৪ জনই বরিশালে। যার মধ্যে মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যাই প্রায় ৬০জন। আক্রান্তদের মধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন সহ একাধীক ডাক্তার,নার্স সহ চিকিৎসা কর্মীও রয়েছেন। তবে এসময়ে আরো ১৫ জন সহ মোট সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১৭৫জন। শুক্রবার নতুন আক্রান্তদের তালিকায় আরো ২০জন পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। এনিয়ে বরিশালে প্রায় দেড়শ পুলিশ কর্মী করোনা সংক্রমনের শিকার হল।
শুক্রবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছলেও তার মধ্যে বরিশালই শীর্ষে। বরিশাল মহানগরী সহ জেলার এ নাজুক পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে বেশীরভাগেরই এখন আর কোন গরজ নেই। নগর প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনেরও তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষনীয় নয়। বরিশাল মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ছাড়াও পাড়া-মহল্লায় ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পেড়েছে। কিন্তু এর পরেও নুন্যতম স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও মানানোর কোন গরজ নেই কারো মধ্যে। প্রতিদিনই এনগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়লেও স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল ছাড়াও ভোলা ও বরগুনাতে আরো দুজন করে এবং পটুয়াখালীতে ১জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৬ জনে উন্নীত হল। মৃত্যুর সংখ্যাও ১৬।
বরিশাল মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত প্রায় ৬০ জনের মধ্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০। এছাড়া আরো অন্তত ১০জন চিকিৎসা কর্মী রয়েছেন। এমনকি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অফিসের একাধীক কর্মীও করোনা সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া জেলার বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, গৌরনদী, বানরীপাড়া ও বাকেরগঞ্জেও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভোলার চরফ্যাশনে আমীর হোসেন নামে ৫০ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু ঘটেছে করোনা সংক্রমনে। এসময়ে ভোলার সদর হাসপাতালে ১জন এবং শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ও আইসালেশন ওয়ার্ডে আরো ৫ জন করে মোট দশজন ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময়ে আইসোলেশন থেকে ৩জন ও করোনা ওয়ার্ড থেকে আরো ৪জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে ৩৩ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬ জন চিকিৎসাধীন ছিল। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার করোনা আক্রান্ত ৮৭৬ জনের মধ্যে মাত্র ১৭৯জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন