ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে ‘পার্সেন্টেজ (সুবিধা) গ্রহণের প্রস্তাব’ দিয়েছেন তার অধীনস্ত এক কর্মকর্তা। এ অভিযোগে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে চিঠি দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলির অনুরোধ করেছেন ডিএমপি কমিশনার। আর এ বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের সর্বত্র তোলপাড় চলছে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন। গত ৩০ মে ডিএমপি সদর দফতরের প্যাডে আইজিপিকে এ চিঠি দেন ডিএমপি কমিশনার। চিঠির স্মারক নং- ডিএমপি (সঃদঃ)/প্রশাসন/এ-৫১-২০২০/১০০৮।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম একজন সৎ, আদর্শবান ও যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। এ ধরনের একজন উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাকে পার্সেন্টেজ (সুবিধা) গ্রহণের প্রস্তাব শুধু ওই কর্মকর্তার জন্যই অসম্মানজনক নয়, এটি পুরো পুলিশ বাহিনীর জন্যও অসম্মানের। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন বলে তারা মন্তব্য করেন।
ওই কর্মকর্তারা আরো বলেন, এ ধরনের ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে ভবিষ্যতে দুনীতিবাজ কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে না। আর পুলিশে চেইন অব কমান্ডও এ ক্ষেত্রে নস্ট হবে বলে ওই কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন।
আইজিপির উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উপযুক্ত বিষয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেন একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের কাছে পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে ওই কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতিয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
আইজিপির পাশাপাশি চিঠিতে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজিরও (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিসিপ্লিন) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। চিঠির বিষয়ে ডিএমপি এবং পুলিশ সদর দফতরের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। ইমাম হোসেন ২০১২ সালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির ডিসি-অর্থ ও ডিসি-লজিস্টিকস পদে দায়িত্ব পালন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন