রাজশাহীর মোহনপুরের মোল্লাডাঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনিরুল ইসলামের (২৬) বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে। পারিবারিকভাবে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ আখি আক্তার (২২) উপজেলার মোল্লাডাঙ্গি গ্রামের প্রতিবন্ধী আয়নাল হক প্রামাণিকের কন্যা। তার দেড় বছরের একটি শিশু কন্যা রয়েছে । মেয়ের প্রতিবন্ধী বাবা আয়নাল হক জানান, তিন বছর আগে যৌতুক দিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার খাজাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে পাপড় বিক্রেতা মনিরুল ইসলামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন।
তিনি বলেন, বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে আরও টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সব সময় সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই ছিল। তার উপর স্বামীর পরিবারের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার মেয়ে সে ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে মোহনপুর মোল্লাডাঙ্গী গ্রামে আমার বাড়ীতে আসে। তখন থেকে সে আমার বাড়িতেই থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে মেয়ে জামাই মনিরুল আমার বাড়ীতে আসে এবং বলে আমার ভুল হয়েছে। আমি এখন এখানে থেকে পাপড়ের ব্যবসা করবো।
মেয়ে জামাইয়ের এমন সরল কথায় রাজী হয়ে তা মেনে নেই। রাতের খাবার শেষে ছোট নাতনি মিমকে নিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত ২ টার দিকে নাতনি মিমের কান্না শুনে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে শিকল দিয়ে ঘর আটকানো ছিল। দরজা খুলে দেখি মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে বিছানায়। পাশে নাতনি কাঁদছে। জামাই পালিয়ে গেছে। মেয়ে মরার আগে পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশও হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মেয়েটাকে আমার মেরেই ফেলল। খবর পেয়ে মোহনপুর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মোহনপুর থানার কর্মকর্তা ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি মনিরুলকে তার গ্রামের বাড়ী বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন