শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম দর্শন

প্রশ্ন ঃ আল কোরআনের মুযেজা কি কি?

এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

উত্তর : -৩. আলকুরআন মানব রচিত কোন কিতাব নয়
আলকুরআন মাখলুকের কোন কালাম নয়, সৃষ্টির স্পর্শ থেকে একান্তভাবে পবিত্র-যা অবতীর্ণ হয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর মালিকের পক্ষ থেকে। “যা অবতীর্ণ হয়েছে সারা জাহানের পালন কর্তার পক্ষ থেকে।” [সূরা ওয়াকেয়া : ৮০]
৪. আলকুরআন এসেছে মানুষের নিকট
আলকুরআন এসেছে ইনসানের নিকট। এটি পাহাড়, দরিয়া কিংবা অন্য কোন সৃষ্টির উপর নাযিল হয়নি। আল্লাহর ওহীর এ আমানত শুধু মানব জাতিই গ্রহণ করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “আমরা এ আমানত (কুরআন) কে আকাশমন্ডল, যমীন ও পাহাড়-পর্বতের নিকট পেশ করলাম। কিন্তু এরা তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত হলো না। তারা ভয় পেয়ে গেলো। কিন্তু মানুষ তাকে স্বীয় স্কন্ধে তুলে নিল।” [সূরা আহযাব : ৭২]
৫. ২৩ বছরে নাযিল হয়েছে
পূর্বের আসমানি কিতাবগুলোর প্রত্যেকটি একসাথে একই সময়ে নাযিল হয়েছে। নিন্তু নুযুলে কুরআনের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ কিতাবটি নাযিল হতে ২৩টি বছরের দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে। এটি একটি অসাধারণ বিষয়। এর প্রায় প্রতিটি সূরা ও আয়াতের সাথে রয়েছে সমাজ পরিবর্তনের হাজারো ঘটনা। একটি কুরআনি বিপ্লবকে সূচনা থেকে সফলতার মনযিলে পৌঁছে দিতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের যে ২৩টি বছর প্রয়োজন হয়েছে এর মধ্যেই যত জটিলতা, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সামনে এসে পথরোধ করেছিল এর জবাব ও পথনির্দেশ দিয়েছে কুরআনের এক একটি সূরা ও আয়াত। “আমি তোমার প্রতি কুরআন অল্প অল্প করে অবতীর্ণ করেছি।” [সূরা দাহর : ২৩]
৬. কুরআনের আওয়াজ বা সুর অতীব আশ্চর্যজনক
এ কিতাবটি সুর, তেলাওয়াতের আওয়াজ অতীব আশ্চর্যজনক। পৃথিবীর আওয়াজের মহাসমুদ্রের মধ্যে এটা একক ও অনন্য। এর আওয়াজের মধ্যে রয়েছে এক যাদুর প্রভাব। তাইতো হাজার বছরের ধীর্ঘজীবী জ্বীন জাতিরা যখন এ কুরআনের আওয়াজ নবীর কণ্ঠে শুনেছিল তখন তারা এ বলে মন্তব্য করেছিল আমরা এক আশ্চর্য কুরআন শুনেছি :
“বলুন, আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জ্বীনদের একটি দল কুরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছে, আমরা বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।” [সূরা জ্বীন : ০১]
৭. কুরআন পাঠের কৌশল ব্যতিক্রমধর্মী
কুরআন পাঠ করার ব্যতিক্রমধর্মী কৌশল রয়েছে। যেন-তেন উচ্চারণ করে পাঠ করা নিষেধ। উচ্চারণের বিশুদ্ধতা অপরিহার্য শর্ত। সেজন্য তেলাওয়াতকারীকে ১৭টি মাখরাজ (উচ্চারণের স্থান) চর্চা করতে হয়। অধিকন্তু স্বরধ্বনি, ব্যঞ্জনধ্বনি, দীর্ঘ করা, ছোট করা, বিরতি দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হয়। যে বিষয়টি কুরআন তেলাওয়াতের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করে, তাকে বলা হয় তাজবীদ।
তাজবীদ বিষয়টি আরবী ব্যাকরণ ও ধ্বনি বিজ্ঞানের সাথে এমনভাবে সংশ্লিষ্ট যা পাঠকারীকে নিখুঁতভাবে অনুসরণ করতে হয়, যেন তিনি কোনভাবে নিজের ইচ্ছামত কোন উচ্চারণ যোগ করতে না পারেন।
উত্তর দিচ্ছেন : এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন