মহান আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামতরাজির মধ্যে সময় হচ্ছে অন্যতম। নিশ্চয়ই সময় দিন রাত্রির সমন্বিত রূপ। সময় শব্দটি তিন অক্ষরের ছোট শব্দ হলেও এর ব্যাপ্তিকাল অনেক বড়। সৌর বছরে ৩৬৫ দিন আর চন্দ্র বছরে ৩৫৪ দিন। ঘণ্টার হিসেবে ২৪ ঘণ্টা এবং মিনিটের হিসাবের দিক দিয়ে ১৪৪০ মিনিট। এ সময় হতে এক ঘণ্টা বা এক মিনিট চলে যাওয়া মানে প্রকৃত পক্ষে জীবনের একটা মূল্যবান অংশ কমে যাওয়া। এ কারণে সময়ের যথাযথ ব্যবহার একান্ত অপরিহার্য। সময়ের সমষ্টিই জীবন। মানুষ তার দুনিয়ার জীবন কীভাবে অতিবাহিত করেছে আখিরাতে সে হিসাব প্রদান করতে হবে।
প্রসিদ্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কোন এক ব্যক্তিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপদেশ দেওয়ার সময় বললেন, তুমি পাঁচটি বিষয়ের পূর্বে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দাও। ১. বার্ধক্য আসার পূর্বে তোমার যৌবনে গুরুত্ব দাও ২. অসুস্থতার পূর্বে তোমার সুস্থতাকে গুরুত্ব দাও ৩. দারিদ্রতা আসার আগে তোমার সচ্ছলতাকে গুরুত্ব দাও ৪. তোমার ব্যস্ততার পূর্বে তোমার অবসরতার প্রতি গুরুত্বারোপ করো ৫. এবং তোমার মৃত্যু আসার আগেই তোমার জীবনের গুরুত্ব দাও।” [মুসতাদরিক ৭৮৪৬]
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে অনেকবার সময়ের শপথ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “শপথ ফজরের, শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার, যা জোড় ও যা বিজোড় ।” [সূরা ফজর : ১-৩]
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে। শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়।” [সূরা আল লাইল : ১,২] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, “কসম যুগের (সময়ের)।” [সূরা আসর : ১]
একজন মুসলমান যাতে সময়ের মূল্য যথাযথভাবে বুঝতে পারে তাই তো কুরআনে একটি সূরাই নাজিল করা হয়েছে ‘আসর’ বা সময় নামে। সময় যেন এক শস্য ক্ষেত্র, আর মানুষ হচ্ছে তার কৃষক। মানুষ ইচ্ছা করলে এই ক্ষেত্রে মহামূল্যবান সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে। আবার অবহেলা করলে এই মূল্যবান সম্পদ আগাছা ভরে যায়।
ইসলামের অধিকাংশ ইবাদাতে সময়ের গুরুত্ব বাস্তবায়ন করা হয়েছে, কেননা ইসলামের সব ইবাদাতই সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। শুরু ও শেষ হিসেবে। বরং ইবাদাত সহীহ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য সময়কে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। ইবাদাত কবুল হওয়ার জন্য সময়ানুবর্তীতাকে শর্ত করে দিয়ে সময়ের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।” [সূরা নিসা : ১০৩]
নামায যা দ্বীনের খুঁটি, রাত দিনকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে এর ওয়াক্ত নির্ধারিত সময় ও নির্দিষ্ট আলামতে করা হয়েছে। এমনিভাবে ইসলামের অন্যান্য রুকুনগুলো : রোযার রয়েছে বাৎসরিক নির্ধারিত সময়। এ সময় মুসলমান নির্দিষ্ট সময়ের অনুসরণ করে। এমনিভাবে যাকাত, যা আর্থ-সামাজিক পদ্ধতি, যা সময়ের সূক্ষ্মতা ও নির্ধারিত সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। হজ্জের ব্যাপারেও একই কথা।
আমাদের সবার মধ্যেই সময় নষ্ট করার প্রবণতা রয়েছে এবং সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করার সুযোগকে কাজে লাগাতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।
দিনরাত সব মানুষের ক্ষেত্রে সমান। পার্থক্য শুধু এখানে যে, কারো সময়ের মধ্যে বরকত আছে। কারো সময়ের মধ্যে বরকত নেই। এই যে আমরা বলি ‘সময় কোন দিক দিয়ে যায়’ এটা হল সময়ের বেবরকতির কারণে। আবার অনেকে বলে, ‘সময় যাচ্ছে না কেন? সময় কাটছে না কেন?’-এটা কখনো হয় পেরেশানীর হালত কিংবা দুঃখ-কষ্টের অবস্থার কারণে। সেটা ওযর। সেটা একটা স্বভাবের দুর্বলতা। এ ধরনের অবস্থা ছাড়াও কখনো মনে হয় সময় দ্রুত শেষ হয়ে গেল। কখনো মনে হয় সময় ফুরায় না। মুমিনের শান এটাও না, ওটাও না। মুমিনের শান হল সময়ের বরকত নষ্ট করে এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যাতে সময়ের বরকত লাভ করা যায়। আর সময় কাটানোর জন্যে কোনো কাজ পাচ্ছে না এমন অবস্থা তো মুমিনের হতেই পারে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা নেক আমলের এত উপায়, ইবাদাতের এত রাস্তা খুলে রেখেছেন যে, সকল পরিস্থিতিতে সর্বাবস্থায় বান্দার জন্য নেক আমলের রাস্তা খোলা। তার এ কথা বলার সুযোগ নেই যে, ‘সময় কাটছে না’।
আমরা যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছি :
পরে করবো
“পরে” করবো বলে কাজ ফেলে রাখছি। আমরা যদি কুর‘আন মুখস্থ করা কিংবা আরও বেশি জ্ঞানার্জন করার ইচ্ছা পোষণ করেন অথচ অনবরত প্রচেষ্টাকে পেছনে ঠেলতে থাকি, তাহলে বুঝতে হবে আমরা তাস্য়ীফের শিকার হয়েছি। কোনো কাজে সফলতা লাভের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের উদ্দেশ্যের পরিশুদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা যা করার উচ্চাশা পোষণ করছি তা কুর‘আন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী হচ্ছে। এরপরই আমাদেরকে দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্রসর হতে হবে। অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই ঐকান্তিক এবং আন্তরিক হতে হবে।
বাইরে ঘোরাঘুরি
অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই আবার মার্কেটে যান কেনাকাটার উদ্দেশ্য ছাড়াই। তাদের উদ্দেশ্য থাকে মার্কেট ঘুরে দেখা, বাজারে নতুন কী এলো তার খোঁজ নেওয়া। নতুন ফ্যাশনের, আরও বাহারি নতুন কিছুর আমদানি হয়েছে কিনা তা ঘুরে দেখাই তাদের উদ্দেশ্য।
মোবাইল ফোন ব্যবহার
নিঃসন্দেহে মোবাইল ফোন এই শতাব্দীর অন্যতম বিষ্ময়কর আবিষ্কার। এই আবিষ্কার দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ভ্রমণ করা, হাত মারফৎ চিঠি পাঠানো এবং অপ্রত্যাশিত অতিথির আগমনের অবসান ঘটিয়েছে। তবে সেই সাথে এটি আমাদের জন্য সময় নষ্ট করার এক বিশাল সুযোগও তৈরি করে দিয়েছে। মাঝে মাঝে মোবাইলে আমরা এমন সব কথা বলে পাপে জড়িয়ে পড়ছি যেসব কথা কোনোভাবেই আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এবং বলার দরকারও ছিল না।
গান-বাজনা
“আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহ্র পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিরর্থক কথাবার্তা (গান-বাজনা ইত্যাদি) কিনে নেয়।” [সূরা লুক্মান : ৬]
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু মাস’ঊদ (রা.) বলেছেন, “সেই আল্লাহ্র কসম যিনি ছাড়া সত্য কোনো ইলাহ নেই! এই আয়াত দিয়ে গান-বাজনার কথা বলা হয়েছে।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোকের উদ্ভব হবে যারা (পুরষদের জন্য) সিল্কের (রেশম) কাপড় পরিধান, মদ্যপান এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারকে হালাল মনে করবে।” [আল-বুখারী, খন্ড৭, অধ্যায় ৬৯, হাদীস ৪৯৪]
পরনিন্দা ও গুজব ছড়ানো
আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনো সময়ে অন্যকোনো মানুষের মাংস খেয়েছি। হতে পারে সেটা আমাদেরই কোন শত্রু কিংবা বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, আমাদের বস, কিংবা আমাদের অধীনস্থ কেউ, কিংবা আমাদের নিজেদেরই স্বামী, স্ত্রী-সন্তানের। পরনিন্দা করা এবং অন্যের নামে গুজব ছড়ানো দু’টি মারাত্মক বদভ্যাস।
প্রায়ই আমাদের কথাবার্তা ‘হারাম’ (নিষিদ্ধ) আলোচনার আওতায় চলে আসে। ফলে আমাদের অবসর সময় ব্যয় হয় মারাত্মক ধ্বংসাত্মক কাজের মধ্য দিয়ে। এমনকি কেউ যদি এরকম আলাপ-আলোচনায় শুধুমাত্র নীরব দর্শক হয়েও বসে থাকেন, তথাপি সময়ের অপব্যবহারের জন্য তিনিও সমানভাবে দায়ী।
টিভি এবং চলচ্চিত্র
মানুষকে শিক্ষাদান কিংবা তাদের মাঝে পরিবর্তন সৃষ্টির এক ভয়ানক হাতিয়ার হলো টিভি এবং চলচ্চিত্র। মানুষের মনন এবং চেতনায় সুদূর প্রসারী ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তারে এসব মিডিয়ার রয়েছে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা। আচার-আচরণ, নৈতিকতা এবং মানুষের বিশ্বাসের উপর এগুলো মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এসবের সাথে ধারাবাহিক সান্নিধ্য বজায় থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের ধ্যান-ধারণায় এসবের প্রভাব পরিলক্ষিত হবে এবং এসবের পেছনে তারা আরও অধিক পরিমাণ সময় ব্যয় করবে।
ভিডিও এবং টেলিভিশনকে প্রয়োজনী এবং উপকারী কাজেও ব্যবহার করা সম্ভব। তবে প্রশ্নাতীতভাবেই এটা প্রমাণিত যে, যা কিছু নিষিদ্ধ সেগুলোতেই এসবের দৃষ্টি এবং মনোযোগ নিবদ্ধ থাকে। নিজেক প্রশ্ন করুন, “আমি কি টিভিতে এমন কিছু দেখছি যা ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী দেখা উচিত নয়? এসব দেখার সময়টুকুকে কি সময়ের উত্তম ব্যবহার বলা যায়?”
আমাদের সামনে এখন প্রশ্ন হলো আমরা কীভাবে আমাদের সময়কে কল্যাণকর কাজে ব্যয় করতে পারি। এই পৃথিবী বিভিন্ন ধরণের ভালোমন্দ কাজকর্মে পরিপূর্ণ। কীভাবে আমরা ভালোটাকে বেছে নেব? কীভাবে আমরা স্থান, কাল এবং পাত্রকে বেছে নেব? যে কারণে কোনো একটিকে বেছে নেব তার কারণ হিসেবে নিজেকে কি উত্তর দেব? এমন কিছু নীতিমালা উল্লেখ করতে চাই যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে এবং জীবনে স্থিতিশীলতা বয়ে আনতে সহায়ক হবে, ইনশাআাহ্।
আল্লাহ্কে ভয় করুন
জীবনে যা কিছু করবো, সবকিছুর মধ্যে আল্লাহ্রভীতিকে স্থান দিবো। আমাদের দ্বীনের মূল স্তম্ভগুলোকে মাথায় রাখবো। শুধুমাত্র ঈমান ও ইসলামের বিষয়গুলি নয়, ইহসানের ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে অর্থাৎ “এমনভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবো যেন আমরা আল্লাহ্কে দেখছি। তবে মনে যদি এমন অনুভূতি সৃষ্টি করতে না পারি, তবে অন্তত এটুকু অনুভব করবো যে, আল্লাহ্ আমাকে দেখছেন।” [বুখারি, খন্ড ২, অধ্যায় ১, হাদীস ৪৭]
কত তাৎপর্যপূর্ণ এবং শক্তিশালী কথা! এই কথাটিকে আমরা জীবনের পাথেয় করে নিবো। একথাও মনে রাখবো যে, আমাদের সমগ্র জীবন এবং আমাদের পারিপার্শ্বিকতা সবই আমাদের জন্য পরীক্ষা। ভুলে যাবো না আমার সময়, ধনদৌলত, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদির প্রতিটি কীভাবে ব্যবহার করছি সে সম্পর্কে আমি জিজ্ঞাসিত হবো। আল্লাহ্ তা‘আলা সূরা আল-কাহ্ফের মধ্যে বলেছেন, “নিশ্চয়ই পৃথিবীতে যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে ওর জন্য অলঙ্কার হিসেবে বানিয়েছি তাদেরকে (মানুষদের) পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কাজেকর্মে কে শ্রেষ্ঠ।” [সূরা কাহাফ : ৭]
জীবন ও প্রাত্যহিক কাজকর্মের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছেন। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি সম্যক অবগত। তার পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে আমাদের বিবেচক হওয়া উচিত এবং তাঁকে স্মরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। আমরা যদি আল্লাহ্কে ভয় করি এবং সর্বক্ষেত্রে তাঁর সম্পর্কে সচেতন হয়ে জীবন যাপন করি, তাহলে আমরা আমাদের সময়ের ব্যাপারেও দায়িত্বশীল হব এবং এর সদ্ব্যবহার করব।
দায়িত্বশীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত হওয়া
আমাদের জীবনের সকল দায়দায়িত্ব এর সাথে সংশ্লিষ্ট। শুধু যদি এই কথাটিই আমরা মনে রাখি তবে আর সবকিছু নিয়মানুযায়ীই হবে এবং অধিকাংশ গর্হিত কাজ এড়িয়ে চলা যাবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের ব্যক্তিগত কুপ্রবৃত্তিতে এতটাই মশগুল হয়ে ডুবে যাই যে, আমরা আমাদের দায়িত্বের বৈধ গন্ডিকে মাড়িয়ে নিষিদ্ধ গন্ডিতে পদার্পণ করি। আঙ্গুলের ছাপের মতো প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ জীবনে স্বতন্ত্র। আমাদের মাঝে কেউ বিবাহিত, কেউ আবার অবিবাহিত। কেউ একক পরিবারের বাসিন্দা, কেউ আবার যৌথ পরিবারের। কারও সন্তানসন্ততির সংখ্যা দুই তিনটা, কারও আবার বাড়ি ভর্তি, কারও একটিও নেই। যার ফলে আমাদের প্রত্যকের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের ভার আলাদা, এবং অবসর সময়ের পরিমাণটাও ভিন্ন ভিন্ন।
আল্লাহ্ আমাদের যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেলুন না কেন, সেগুলোকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করতে হবে। পারিপার্শ্বিকতাকে বিবেচনায় নিয়ে পরিপূর্ণভাবে আমরা কর্তব্য সম্পাদন করবো। নিজের মনকে জিজ্ঞেস করবো আমার উপর আল্লাহ্ তা‘আলার হক্ব আমি ঠিকমতো আদায় করছি তো? অন্যের হক্ব এবং নিজের উপর হক্ব আদায় করছি তো?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন