সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সংক্রমণের ব্যাপকতায় করোনার কবলে সিলেটে ১ হাজার ২৩৭ জন

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ১২:৫৮ পিএম

করোনা সংক্রমণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। মাত্র দুই মাস পাঁচ দিনে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৭ জনে। এর মধ্যে ৫৬ দিনে প্রথম ৫০০ শনাক্ত হয়েছিল। আর শেষ ৫০০ শনাক্ত হয়েছে মাত্র ১০ দিনে। আর চার অঙ্কে প্রবেশের পর এই সংখ্যা বাড়ছে প্রবল গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৩৭ জন।

বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিচ্ছেন, সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে কারফিউর মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই। সিলেটে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫ এপ্রিল। পরবর্তীতে সংক্রমণের হার দেখে ঈদের আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল বলেই পরিসংখ্যান বলছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদে লকডাউন শিথিল করা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয় সিলেটে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ শহরে কেনাকাটা করতে দেদারচ্ছে আসে। এ ধারাবাহিকতা কমেনি এখন। বৃহস্পতিবার নগরীতে ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভিড় দেখে মনে হয়েছে সিলেটে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিওে এসেছে।
যানজট ছিল জিন্দাবাজার ও আম্বরখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবকটি মোড়ে। বেশির ভাগের মুখে নেই মাস্ক। অনেকের থুঁতনিতে হয়েছে মাস্কের ঠাঁই। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণ রোধ করা প্রায় অসম্ভব বলে মন্তব্য করছেন সচেতন নাগরিকরা। বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় আক্রান্ত রয়েছেন ১ হাজার ২৩৭ জন। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে শুধু সিলেটে ৭৪ জন আক্রান্ত। এর আগের দিন সিলেট জেলায় ১৭৫ জন ছিলেন আক্রান্ত।

এব্যাপারে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী বলেন,‘করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সিলেটে। প্রকাশ্যে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। উত্তরণের জন্য কারফিউর মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া উপায় নেই। এছাড়া পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট চালু না করাই হবে উত্তম।’ সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করল্ওে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করানো সম্ভব হচ্ছে না মানুষকে। এ অবস্থায় আইনের আরও কঠোর বাস্তবায়ন ছাড়া কোনোভাবেই সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না পরিস্থিতি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন