মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) মনে করছে, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ‘বাস্তবসম্মত’ নয়। বাজট নিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বাজেট প্রস্তুত করা অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি কঠিন কাজ। গত পাঁচ মাসে কভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের চলমান চিত্র পাল্টে দিয়েছে। পরিস্থিতির আলোকে বিবেচনা করলে বলতে হয়, বাজেটের ঘাটতি কিংবা প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় না নিয়ে এখন জীবন ও জীবিকা কীভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়, সেদিকে নজর দেয়ায় যুক্তিযুক্ত। একই সঙ্গে ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকেও বাজেটের যতটুকু সম্ভব নাগরিকের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরির বাজার পুনরুদ্ধার, নতুন বাজার সৃষ্টিতে আরও নজর দেয়া প্রয়োজন ছিল বলে এমসিসিআই বলছে। নিহাদ কবির বলেন, মহামারির ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি শুরু হওয়ায় আগামী অর্থবছরটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দেবে।
রাজস্ব আহরণ হবে খুবই কঠিন ব্যাপার। চলমান অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে ২৫ শতাংশ ঘাটতি হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর পরেও আগামী বাজেটে রাজস্ব আহরণে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণ করা হবে একেবারেই কঠিন কাজ। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কর দিয়ে আসছে তাদের ওপর এনবিআরের চাপ বেড়ে যাবে।
বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ ধরা হলেও অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল অবস্থায় এটা আরো বাড়বে বলে মনে করছে এমসিসিআই।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন