বিনোদন ডেস্ক : নাট্যদল নাট্যবিন্দু প্রযোজিত মুক্তিযুদ্ধের নতুন নাটক ‘ট্র্যাপ’। ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় বেইলি রোডস্থ মহিলা সমিতি নাট্যমঞ্চে নাটকটির ৩য় প্রর্দশনী হবে। এরইমধ্যে নাটকটির ২টি প্রর্দশনী হয়েছে। গত ১৭ জুলাই নাটকটির উদ্বোধনী-শো হয়েছিল পাবলিক লাইব্রেরি শওকত ওসমান মিলনায়তনে। ২য় প্রর্দশনী হয়েছে ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমি নাট্যমঞ্চে। দুটি প্রর্দশনীতেই নাটকটি র্দশকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ‘ট্র্যাপ’ নাটকটি নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন দলের উপদেষ্টা লিটন ভূঁইয়া। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী’র লেখা মুক্তিযুদ্ধের দু’টি গল্প অবলম্বনে ‘ট্র্যাপ’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এই নাটকে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকায় আটকে পড়া মানুষের দুর্দশার জীবনচিত্র ফুটে তুলে ধরা হয়েছে। নাটকে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্য়াটারের এক বিল্ডিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রাহাত ও তার স্ত্রী কেয়া আটকে পড়েছে। কারফিউ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ড. রাহাত ও তার স্ত্রী কেয়া আটকা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্য়াটার ফাঁকা। অল্প ক’জন ছাড়া সবাই নিজেদের বাসাবাড়ি ফেলে গ্রামে বা নিরাপদ স্থানে চলে গেছে। কোর্য়াটারের এই বিল্ডিংটায় ড. রাহাতের পরিবার আর উপর তলায় সোলেমান সাহেব ঘরের আলো নিভিয়ে আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে। বাইরে বেরুতে পারছেন না। টেলিফোন লাইন কাটা। কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এ এক দুর্বিসহ সময়! সোলেমান সাহেব এখনো পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। তিনি ড. রাহাতের বাসায় নেমে এসে পরিকল্পনা করেন। ড. রাহাতও ভেবে চিন্তে ওনার সাথে পালাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই রাতেই সোলেমানের বাসার দরজায় কড়া নাড়ে পাকিস্তানি মিলিটারি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন