হজ অফিসের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর সুহিল মোহাম্মদ ফেরদৌস (সোহেল) এখনো বহাল তবিয়তে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির ১৬৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আশকোণাস্থ হজ অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট সোহেলের হাজী ক্যাম্পস্থ ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টে প্রায় ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং তার স্ত্রী নাজমা বেগমের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের আশকোণা শাখায় জমাকৃত ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আয় বর্হিভূতভাবে সন্ধান পায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নূরুল আলম ২০১৯ সালের ৬ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এক চিঠিতে হজ অফিসের সুহিল মো. ফেরদৌসকে শীর্ষ দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে অনুমোদন ব্যতিরেকে তার এবং তার স্ত্রীর সম্পত্তি অর্জনের কারণে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল ) বিধি ১৯৮৫ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রজুর নির্দেশ দেয়।
২০১৯ সালের ২২ মে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আরিফ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ এক জরুরি চিঠিতে হজ অফিস থেকে বিতর্কিত সুহিল মো. ফেরদৌসকে সাময়িক প্রত্যাহার করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করেন। একই চিঠিতে পরিচালক হজ মো. সাইফুল ইসলামকে অভিযুক্ত সুহিল মো. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু করার নির্দেশ দেয়। কিন্ত পরিচালক হজ রহস্যজনক কারণে অদ্যাবধি সুহিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু না করে টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আজ বুধবার হজ অফিসের পরিচালক হজ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজকে আমরা আশ্রয় দেই না। তবে সুহিল মো. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু সিষ্টেম অনুযায়ী হবে। তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা রাখুন। তবে এসব বিষয় আপনাকে কে স্মরণ করিয়ে দেয় ?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন