‘করোনাযোদ্ধা’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন) এই স্বীকৃতি দিয়েছে তাকে। ‘করোনাযোদ্ধা’ স্বীকৃতি দিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে একটি সনদও দিয়েছে মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করা সংগঠনটি।
করোনাকালে ঘরে বসে থাকেননি জাহিদ আহসান রাসেল। ছুটেছেন ঢাকা থেকে গাজীপুর। কখনো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে, কখনো বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি)। করোনাভাইরাসে সংক্রামণ রুখতে দেশে যখন সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় তখনো থেমে থাকেননি রাসেল। কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দিনরাত ছোটাছুটি করেছেন তিনি। অসহায়দের দিয়েছেন কখনো সরকারি ত্রাণ, কখনো বা ব্যক্তিগত সাহায্য। এমন কি মানুষের ঘরে ঘরেও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী রাসেল। নিজ জেলা ও নির্বাচনী এলাকা আর দেশের ক্রীড়াঙ্গন- সব স্থানেই তার বিচরণ ছিল অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার ক্রীড়াবিদের দিয়েছেন ১ কোটি টাকা। তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় ক্রীড়াবিদদের সাহায্যের জন্য আরো ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছেন অর্থমন্ত্রণালয় থেকে। এর বাইরে কোন অসহায় ক্রীড়াবিদের মা-বাবা কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে নিজ মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করছেন, অথবা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহযোগিতা এনে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহের উদীয়মান ফুটবলার বাধনের মায়ের অসুস্থতার খবর গণমাধ্যমে জানতে পেরে তার চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল।
করোনাকালে কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়া মানুষের পাঁশে দাঁড়িয়ে সরকারের যে কয়জন মন্ত্রী এবং এমপি সুনাম অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তার এ সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ফলে তাকে ‘করোনাযোদ্ধা’ স্বীকৃতি দিয়ে সম্মানিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন