শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ক্যাসিনো ইস্যুতে ক্ষুব্ধ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:৩২ পিএম

একটু দেরীতে হলেও মতিঝিল ক্লাব পাড়া সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্যাসিনো তথা জুয়া বাণিজ্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। দেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনে ক্যাসিনো’র ব্যবসাকে তিনি ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য বলে উল্লেখ করেন। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাগবি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকদের বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে জাপান গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে রাসেল বুধবার বলেন, ‘এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। অপরাধী কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। সে যেই হোক বা যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন।’ তিনি আরো বলেন,‘ দেশের স্পোর্টস ক্লাবগুলোর প্রথম এবং প্রধান কাজই হলো খেলাধুলায় সক্রিয় থাকা। কিন্তু স্পোর্টসের নামে ক্লাবগুলোতে অবৈধভাবে জুয়া ও ক্যাসিনো বাণিজ্য হয়েছে। এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এসব অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমি চাই যারা খেলাধুলার জায়গা ক্লাব পাড়ায় এই অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য করেছে তাদের যথাযথ বিচার হোক।’

মতিঝিল ক্লাব পাড়া সহ যেসব ক্লাবে ক্যাসিনোর ব্যবসা চলতো ওই ক্লাবগুলোর কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই নাকি একটি গোষ্ঠি ক্যাসিনো ও জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করতো। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, ‘এর জবাব ক্লাবগুলো দেবে। তবে জোর করে ক্যাসিনো চালানোর বিরুদ্ধে ক্লাবগুলো কেন আইনের আশ্রয় নেয়নি এতোদিন? কেন তারা থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেনি। ক্লাবের মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো আর জুয়ার বোর্ডের কারণে ক্রীড়াঙ্গনের সুনাম মারাতœকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।’ তিনি যোগ করেন,‘আমার একটাই কথা, এই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকা কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন দেয়া হয়। এমন শাস্তি যা দেখে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস কেউ না পায়। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজের সঙ্গে জড়িত, তারা যেই হোক তা বিবেচ্য নয়। যত বড় নেতা, প্রশাসন কিংবা ক্লাব কর্মকর্তা যেই হোক তাদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।’

আশির দশকের শেষ দিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মতিঝিলে ১১টি ক্লাবকে এই জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু ক্লাবগুলোর কার্যক্রমের উপর এনএসসি’র মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল কিনা তা কারো জানা নেই। এখন এই ক্যাসিনো ঘটনার এনএসসি’র মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর জবাব,‘ক্লাবগুলোকে এনএসসি জায়গা দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ক্লাবগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করা কিংবা জবাবদিহিতার মধ্যে আনার সুযোগ তাদের নেই। কারণ, এই ক্লাবগুলো আমাদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন নেয়নি। আমরা তাদের কোনো বরাদ্দও দেই না। ক্লাবগুলো শুধু ক্রীড়ার কার্যক্রমই করে না, তারা নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমও করে থাকে। এগুলোর রেজিষ্ট্রেশনের এখতিয়ার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। মূলত ক্লাবগুলো বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয় ফেডারেশনগুলোর অধীনে। তাই তাদের কোনো কার্যক্রম এবং আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষণের সুযোগ এনএসসি’র নেই। ফেডারেশনগুলো এনএসসি’র নিবন্ধিত হওয়ায় আমরা তাদের মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে থাকি। তাদের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা চাই। ক্লাবগুলোর কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইতে পারে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেশনগুলো।’ জাহিদ আহসান রাসেল দৃঢ়ভাবে জানান, ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর মতো অবৈধ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। সরকার এ বিষয়ে কঠোর। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন