শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্ত্রী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাংবাদিক নান্নুর অগ্নিদগ্ধে মৃত্যু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে একই বাসায় একইভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একমাত্র ছেলে পিয়াসের মতোই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার অপরাধ বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মৃত্যুতে স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদিক নান্নুর স্ত্রী শাহিনা হোসেন পল্লবী এবং শাশুড়ি মোসাম্মদ শান্তা পারভেজের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
বাড্ডা থানার ওসি মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, সাংবাদিক নান্নুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে এর আগে গঠন করা গুলশান বিভাগ পুলিশের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস, সিআইডি ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আলাদা তদন্ত করছে। তিনি আরো বলেন, নান্নুর মৃত্যুর পর স্ত্রী পল্লবী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন। তবে সোমবার সাংবাদিক নান্নুর আগুনের পুড়ে যাওয়া ও মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করে বড় ভাই নজরুল ইসলাম খোকন মামলাটি দায়ের করলেন। এ মামলাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বাদী নজরুল ইসলাম খোকন উল্লেখ করেন, ছোট ভাই নান্নু তার স্ত্রী শাহিনা হোসেন পল্লবীর সাথে আফতাবনগরের জহিরুল ইসলাম সিটির ৩ নম্বর সড়কের বি ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় বসবাস করতো। গত ১১ জুন রাত সাড়ে ৩টার সময় ছোটভাই মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু রহস্যজনকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন সকাল ৮টায় মারা যায়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জানতে পারি নান্নুর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক। ঘটনা সময় স্ত্রী ছাড়াও নান্নুর শাশুড়ি শান্তা পারভেজও ওই বাসায় অবস্থান করছিলেন। আরো জানতে পারি নান্নু গত ১১ জুন রাত ১ টার দিকে বাসায় ফেরে। বাসায় ফেরার পর স্ত্রী পল্লবীর সাথে ঝগড়া হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরেই বাসায় আগুন লাগে। নান্নু দগ্ধ হয়। নিজে পাইপ এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তার স্ত্রী ও শাশুড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করে নাই এবং নান্নু নিজেই ১০ তলা থেকে হেঁটে নিচে নামে। সেখানে আশপাশের ফ্ল্যাট মালিকরা নান্নুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৩০ জুন, ২০২০, ৯:৩১ এএম says : 0
আজকাল এধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে এরপরও সরকার এসব বন্ধ করার জন্যে দৃষ্টান্ত মূলক সাজার আইন প্রণয়ন করতে সক্ষম না হওয়ার জন্যেই এধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়ে যাচ্ছে এটাই বিজ্ঞজনদের ধারনা। জনগণ তাদের প্রতিনিধিদেরকে সংসদে পাঠান তাদের মঙ্গলের জন্যে আইন প্রণয়ন করতে। কিন্ত এনারা সংসদে বসে একে দল অপর দলের নিন্দা করে নিজেদের মধ্যে বাহবা নেয়ার জন্যে বা হাততালি দিয়ে বাহবা জানানোর জন্যে সাংসদদেরকে সংসদে পাঠানো হয়না। কিন্তু আমরা দেখতে পাই সংসদটা হয়েছে সাংসদদের আড্ডা খানা এখানে ওনারা রসালো আলাপ আর অতীতে দলের নেতাদের ইতিহাস নিয়ে একদল অপর দলের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করে থাকেন। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের সাংসদদেরকে সত্য বলা, ও সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। সাথে সাংসদদেরকে জনগণের মঙ্গল চিন্তা করা এবং সেইভাবে কাজ করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন