করোনা সংক্রমণ রোধে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে কক্সবাজার শহরে। এ পদ্ধতি অনুসরণে কক্সবাজার পৌর শহরে দিন দিন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমে আসছে। ইতোমধ্যে গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৪শ’ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও তথ্য সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা এবং আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকদের কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল রোববার কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে প্রকাশিত রিপোর্টে ১৬৪ জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারমধ্যে করোনা পজেটিভ এসেছে কক্সবাজার জেলায় মাত্র ৯ জন। গত দু’মাসের মধ্যে এটি ছিল কক্সবাজারে সর্বনিম্ন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
এদিকে গত শনিবার কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে নিয়োজিত স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা করে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। সভায় কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আরও কীভাবে করোনা রোগী ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ প্রদান করেন। সভায় পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর বলেন, এটি একটি দুর্যোগ। এ দুর্যোগে স্বেচ্ছায় পৌর আ.লীগের স্বেচ্ছাসেবকরা করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই মাঠে রয়েছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত সিভিল সার্জন ডা. মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, করোনা মহামারিতে কক্সবাজার পৌর আ.লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বেচ্ছায় যে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন তারা সত্যিই একেকজন বীর। এই বীররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে বাঁচানোর জন্য করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই পরিশ্রম করছে। এখন যে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবকরা এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পৌর আ.লীগের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রধান মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪শ’ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকরা। এর পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পরীক্ষাসহ আইসোলেশনে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ কারণেই কক্সবাজার পৌর শহরে দিন দিন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নিম্নগামি।
সভা শেষে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে নিয়োজিত ১২টি ওয়ার্ডের ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎকদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন