শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সুন্দরবনে জেলে অপহরণের পর ভারতে নিয়ে বিকাশে মুক্তিপণ আদায়

গ্রেফতার চার- প্রেস ব্রিফিং-এ সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২০, ৩:৫৭ পিএম

ভারতীয় জলদস্যুদের নিয়ে সুন্দরবনে জেলে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করা হয়। আর মুক্তিপণের এসব টাকা লেন দেন হয়ে থাকে বিকাশের মাধ্যমে। জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেফতারের পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে সুন্দরবনে জলদস্যু-বনদস্যু বিরোধী অভিযান সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এসব জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, সাতক্ষীরায় যোগদানের পর থেকে জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরবনে জেলে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা আদায় নিয়ে কয়েকদিন ধরে পুলিশ সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনুর রহমান ওরফে খোকা বাবু (৩৫), দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মহিউদ্দীন গাজীর ছেলে আলাউদ্দীন গাজী (৪০), সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার আব্দুল হাকিম গাজীর ছেলে তৈয়েবুর রহমান কামরান (৩৪) ও একই এলাকার মৃত শওকত আলীর ছেলে রহমান এন্টার প্রাইজের মালিক সাইদুর রহমান সাইদ (৪১)।
এছাড়া, জলদস্যুতায় জড়িত বাংলাদেশি নাগরিক প্রদীপ (ঠিকানা অজ্ঞাত), সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের মিঠুন দাস (২৫), ভারতের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট ত্রিমোহিনী এলাকার আক্তার আলম গাজী (৪০), একই এলাকার সৈয়দ আহমেদের ছেলে পান্না (৫৫), বাপ্পী (৩৫) ঠিকানা অজ্ঞাত ও ঘোজাডাঙ্গা এলাকার হাসান এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধীকারী নুনু (৫০)।

তিনি জানান, এসব ব্যক্তিরা জলদস্যুদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে জেলেদের অপহরণ করে জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপন আদায়, মারপিটসহ নানাভাবে তাদেরকে নির্যাতন চালায়। আর অবৈধভাবে অর্জিত তাদের এই অর্থ বিকাশের মাধ্যেমে ভারতে পাচার করছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজনসহ ১০ জনের নামে জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই ফরিদ হোসেন বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৮।
এদের মধ্যে সাইদুর রহমান সাইদ, অপহৃত এশার আলী ও এই মামলার স্বাক্ষী সৈয়দ হারিজ হোসেন তুহিন বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কালিন্দী নদীতে মাছ ধরার সময় গত ২০ জুন শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের এশার আলী গাজী ও প্বাশের্খালী গ্রামের আজিবর রহমানসহ ৮/৯ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবীতে অপহরণ করে কতিপয় জলদস্যু। এরপর তাদেরকে সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যায় তারা। অপহরনকারী জলদস্যুরা পরে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে তাদের দাবীকৃত মুক্তিপন নিয়ে অপহুত জেলেদেরকে ছেড়ে দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন