পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটিতে আসন্ন ঈদুল আযহা অনাড়ম্বরে এবং সাবধানতার সাথে পালনের আহবান জানিয়েছেন যাতে করোনাভাইরাসের বিস্তার না ঘটে। তিনি গতকাল ইসলামাবাদে আইসোলেশন হাসপাতাল ও সংক্রামক চিকিৎসা কেন্দ্র (আইএইচআইটিসি) উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হলে ভাইরাসটি দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে, মে মাসে ঈদুল ফিতরে ‘গাফিলতি’র কারণে পাকিস্তানে সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হয়েছিল। এটি আমাদের হাসপাতালের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, আমাদের প্রথম সারির কর্মীরাও প্রচÐ চাপের মুখোমুখি হয়, দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেকে প্রাণ হারায় এবং সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়।
ঈদের পরে আমরা স্মার্ট লকডাউনসহ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ গ্রহণ করি, ফলে আজ সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) প্রদেশগুলির সহযোগিতায় নির্দেশাবলী বাস্তবায়নে পাকিস্তান এখন সেইসব দেশের অন্তর্ভুক্ত যেখানে সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ঈদুল আযহা এবং কীভাবে পশু কোরবানি সম্পাদন করতে পারে তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) গ্রহণ করেছে। ‘আমি দেশের অর্থনীতি এবং বিশেষত প্রবীণ এবং সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের কথা মাথায় রেখে জাতিকে অনাড়ম্বর ও সতর্কতার সাথে ঈদুল আযহা পালনের আবেদন করছি’। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এখনই সতর্ক হই তবে আল্লাহ চাইলে অন্যান্য দেশের তুলনায় এ মহামারি থেকে দ্রæত বেরিয়ে আসতে পারব’।
এর আগে জাতীয় বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লে. জেনারেল মোহাম্মদ আফজাল আইসোলেশন কেন্দ্রের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। রেডিও পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, আড়াইশো শয্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রটি প্রায় ৯৮ কোটি রুপি ব্যয়ে রেকর্ড চল্লিশ দিনে তৈরি করা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ উমর, তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী শিবলি ফরাজ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ডন অনলাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন