শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অনাড়ম্বর ও সতর্কতার সাথে ঈদুল আযহা পালন করুন : পাকিস্তানিদের প্রতি ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটিতে আসন্ন ঈদুল আযহা অনাড়ম্বরে এবং সাবধানতার সাথে পালনের আহবান জানিয়েছেন যাতে করোনাভাইরাসের বিস্তার না ঘটে। তিনি গতকাল ইসলামাবাদে আইসোলেশন হাসপাতাল ও সংক্রামক চিকিৎসা কেন্দ্র (আইএইচআইটিসি) উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হলে ভাইরাসটি দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে, মে মাসে ঈদুল ফিতরে ‘গাফিলতি’র কারণে পাকিস্তানে সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হয়েছিল। এটি আমাদের হাসপাতালের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, আমাদের প্রথম সারির কর্মীরাও প্রচÐ চাপের মুখোমুখি হয়, দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেকে প্রাণ হারায় এবং সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়।

ঈদের পরে আমরা স্মার্ট লকডাউনসহ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ গ্রহণ করি, ফলে আজ সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) প্রদেশগুলির সহযোগিতায় নির্দেশাবলী বাস্তবায়নে পাকিস্তান এখন সেইসব দেশের অন্তর্ভুক্ত যেখানে সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার ঈদুল আযহা এবং কীভাবে পশু কোরবানি সম্পাদন করতে পারে তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) গ্রহণ করেছে। ‘আমি দেশের অর্থনীতি এবং বিশেষত প্রবীণ এবং সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের কথা মাথায় রেখে জাতিকে অনাড়ম্বর ও সতর্কতার সাথে ঈদুল আযহা পালনের আবেদন করছি’। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এখনই সতর্ক হই তবে আল্লাহ চাইলে অন্যান্য দেশের তুলনায় এ মহামারি থেকে দ্রæত বেরিয়ে আসতে পারব’।

এর আগে জাতীয় বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লে. জেনারেল মোহাম্মদ আফজাল আইসোলেশন কেন্দ্রের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। রেডিও পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, আড়াইশো শয্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রটি প্রায় ৯৮ কোটি রুপি ব্যয়ে রেকর্ড চল্লিশ দিনে তৈরি করা হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ উমর, তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী শিবলি ফরাজ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ডন অনলাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
fatema akhter ১০ জুলাই, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
eid mubarak..Emran bhai I wish you will have very good Eid.
Total Reply(0)
fatema akhter ১০ জুলাই, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
eid mubarak..Emran bhai I wish you will have very good eid.
Total Reply(0)
fatema akhter ১০ জুলাই, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
eid mubarak..Emran bhai I wish you will have very good day.
Total Reply(0)
aminul ১০ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৪ এএম says : 0
এটা পাকিস্তান প্রেমিক দের জন্য ---- পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যদিও সেই স্বাধীনতা কম কষ্ট করে আসেনি। লক্ষ-লক্ষ বাঙালি প্রাণ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। আর পাকিস্তানের জেলে বসে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার 'সেনাপতি' বঙ্গবন্ধুকে। বুধবার সে দেশের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা হাঁটলেন স্মৃতির সরণিতে। শুধু তাই নয়, 'বাবা'র কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল জল। এদিন হাসিনা বলেন, 'বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে কী ধরনের যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন, তা বাইরে বলতেন না। তবে লিখে রেখেছিলেন সব কিছুই। সেই লেখা থেকেই জানতে পেরেছি সব।' বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, '১৯৭১ সালে আমাদের বাড়িতে শুধু আক্রমণই করা হয়নি, সেইসঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে লুটপাট করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের বাহিনী। কিন্তু তার আগেই বাড়ির সবকিছু লুঠ করে নেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর লেখার খাতাগুলো কেউ ছুঁয়েও দেখেনি। আমার মনে হয়, পাকিস্তানের বাহিনীর সেগুলো পছন্দ হয়নি। ১৯৭৫ সালে ১৫ অগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। তখনও চলে বাড়ি লুঠ। এরপর আমি খাতাগুলো উদ্ধার করি।' এদিন 'বাবার' সেই লেখা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বারবার চোখে জলে চলে এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। স্মৃতিচারণা করতে-করতেই তিনি বলেন, 'বাবা যখন কুর্মিটোলা কারাগারে ছিলেন, তখন মা একটা খাতা দিয়ে আসতেন সমস্ত কিছু লিখে রাখার জন্য।' হাসিনার সংযোজন, 'আমি যখন বাবার কাছে যেতাম, বাবা আমাকে লেখার খাতাটা দিয়ে বলতেন, 'এখন পড়বি না। আমি যখন থাকব না, তখন পড়বি।'
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন