বিনোদন ডেস্ক : গত ৩১ জুলাই ছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতার জন্মদিন। তিন বছর পর তিনি দেশে জন্মদিনটি পালন করেন। গত তিন বছর কানাডাতে ছেলে অনিকের সঙ্গেই জন্মদিন পালন করেছেন। এবারের জন্মদিন নিয়ে ববিতার কোন বিশেষ পরিকল্পনা ছিল না। জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই দেশ বিদেশ থেকে আত্মীয়-সজন, বন্ধু-বান্ধব, ভক্ত, সহকর্মী, সাংবাদিক’সহ অনেকেই শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে স্কাইপিতে ছেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুপুরের পর বিকেল সাড়ে তিনটায় ববিতার ঘর আলোকিত করতে এবং জন্মদিনকে বিশেষায়িত করে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ডিসট্রেস চিলড্রেন অ্যাÐ ইনফ্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল-ডিসিআইআই’র সুবিধাবঞ্চিত বেশ কয়েকজন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ফুলের তোড়া নিয়ে ববিতাকে শুভেচ্ছা জানান। আসমা, সূচি, হামিদা, পুতুল, নূপুর, সুমাইয়া, নিশি, জেসমিন এই আটজন শিশু ববিতাকে নেচে নেচে গান গেয়ে শুনান। ‘ময়না ছলাৎ ছলাৎ করেরে’, ‘নোঙ্গর তোল তোল’, ‘আজি ধানের ক্ষেতে’, ‘ঝুমঝুম ময়না নাচোরে’ এই চারটি দেশাত্ববোধক গানের তালে শিশুরা নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে ববিতা শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেন। বাচ্চাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘তোমরাইতো আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা, তোমরাইতো আমাদের ভবিষ্যত, তোমরা সবসময় ভালো থাকবে। যখনই মন চাইবে আমার কাছে ছুটে আসবে। আমি আজীবন তোমাদের জন্য কাজ করে যাবো।’ ববিতার জন্মদিনের পুরো অনুষ্ঠানটি তারই ছোট বোন চম্পার তত্ত¡াবধানে অনুষ্ঠিত হয়। তাকে সহযোগিতা করেন সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন। চম্পা বলেন, ‘পপি আপার জন্মদিনে আমি আসব না, তা হতেই পারে না। তবে খারাপ লেগেছে এই কারণে যে সুচন্দা বুজির জ্বর থাকার কারণে আসতে পারেননি। অনিককেও খুব মিস করেছি।’ বিকেলের শেষপ্রান্তে ছোট ছোট শিশুরা ববিতাকে বিদায় জানিয়ে চলে যায়। ববিতা বলেন, ‘ওদের উপস্থিতিতে ঘরটা বেশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল। জীবনের এক স্মরণীয় জন্মদিন পার করেছি। জীবনে কখনো ভুলব না।’
ছবি : ববিতা-জন্মদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন