ফরিদপুরের সালথায় ইউপি সদস্যর বাড়িসহ ৩টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে রফিক বাহিনীর সদস্যরা। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ও আ.লীগ নেতা সিরাজ বিশ্বাসের বাড়িসহ উজিরপুর গ্রামের ৩টি বাড়িতে ভাঙচুর করে। এতে ৩ মহিলা আহত হয়।
ইউপি সদস্য ও ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ মে সকালে রফিক মোল্যার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার ওপর হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করি। আমার মামলাসহ মোট ৭টি মামলায় রফিক মোল্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরই জেরধরে গ্রেফতারকৃত আসামি রফিক মোল্যার ভাই নুরু মোল্যা, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ন খা ও ইলিয়াছ কাজীর নেতৃত্বে শতাধিক লোক সোমবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িসহ সামচেল বিশ্বাস ও জাফর শেখের বাড়িতে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে ৪টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। হামলা ঠেকাতে গেলে জাফর শেখের স্ত্রী আয়না বেগম (৪০), ৯০ বছর বয়সী আমার বৃদ্ধা মাসহ ৩ জন আহত হয়।
ফাঁসির পলাতক আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের কিরুদ্ধে দায়েরকৃত যুদ্ধাপরাধী মামলার ২নং সাক্ষী রওশন শেখ বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ন খার সাথে হাত মিলিয়ে ইলিয়াছ কাজী মোল্যা ও রফিক মোল্যা এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাট করে। রফিক মোল্যা গ্রেফতার হওয়ার পরও তারা থেমে থাকেনি। আমরা সাধারণ মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আ.লীগ সমর্থীত ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে হুমায়ন খা, ইলিয়াছ কাজী ও রফিক বাহিনীর সদস্যরা। বাড়িতে থাকা মেয়ে-ছেলেদেরকেও তারা ছাড় দেয়নি। এমনকি সিরাজ মেম্বারের ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকেও মারধর করেছে তারা।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলারকারীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন