কোরবানিকে নিরুৎসাহিত করে একটি মহল ইসলামের বিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় ও কোরবানি দিতে পারে তার সুব্যবস্থা করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবাদর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোরবানি মুসলমানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তির পক্ষ থেকে ঈদুল-আযহার দিনগুলোতে পশু কোরবানি দেয়া ওয়াজিব। দেশবাসী এ গুরুত্বপূর্ণ আমল যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে তার জন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কিছু লোক করোনাভাইরাসহ বিভিন্ন অজুহাতে এবং ইসলামের বিধান না জানার কারণে পশু কোরবানিকে নিরুৎসাহিত করছে। এধরণের মানুষগুলোই ইসলাম বিদ্বেষী মতলববাজ।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমালে জটিলতা আরো বাড়বে। এক জায়গায় অধিক ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সমুন্নত রেখে পর্যাপ্ত পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে পর্যাপ্তসংখ্যক পশুরহাটের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে, কোরবানিদাতারা সহজে ও স্বল্প সময়ে কোরবানির জন্য পশু ক্রয় করতে পারে।
ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, পশুর চামড়ার দাম নিয়ে যাতে গত বছরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য সরকারকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চলমান করোনা দুর্যোগের অযুহাতে অসাধু চামড়া সিন্ডিকেট যাতে চামড়ার মূল্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং এ বছর যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হয় তার জন্য সরকারকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য ন্যূনতম ২হাজার টাকা নির্ধারণ করে চামড়া শিল্প রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন দেশে চামড়ার মূল্য আগের মত থাকলেও বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম কমিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া এতিম ও গরিবের হক। চামড়ার দাম কমানোর মাধ্যমে এতিম-গরিবের অধিকার নষ্ট করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো জনগণের দানে পরিচালিত। কোরবানির পশুর চামড়া মাদরাসার আয়ের বড় উৎস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন