টেকনাফে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন-যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান’কে আহবায়ক করা হয়েছে।
রোববার ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণগঠিত এ কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন, যাকে মনোনীত করবেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডার।
বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি’র মনোনীত একজন প্রতিনিধি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহা. শাজাহান আলি এই তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছ। যাকে পূর্বের তদন্ত কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছিলো।
গত ৩১ আগস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান (৩৬) তাঁর কক্সবাজারমূখী প্রাইভেট কারটি নিয়ে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পুলিশ থামিয়ে দেয়।
তখন পুলিশের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ উপর দিকে হাততুলে তার কার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাঁকে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী গুলি করে হত্যা করে বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে টেকনাফের ওসি প্রদিপ দাশের নির্দেশে মেজর সিনহাকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদকে হাসপাতালে নিতে পুলিশ দীর্ঘ দুই ঘণ্টা দেরি করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে দেয়া পুলিশের বিভিন্ন বক্তব্যও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন