শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজারে ২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের সেমিনার অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার ব্যুরো ও উখিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ থিমে ২৪ দেশের উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তার অংশগ্রহণে ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে কক্সবাজারে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ আয়োজনে ইনানী সাগর পাড়ের রয়েল টিউলিপ হোটেলে এই সেমিনার শুরু হয়।
সেমিনার শেষে বাংলাদেশ সেনা প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ২৪টি দেশের সেনা কর্মকর্তারা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে কথা বলেন সেনা কর্মকর্তারা। এ সময় কয়েকজন রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, পাঁচ বছর আগের সেখানে সংগঠিত গণহত্যা-নিপীড়নের ঘটনা এবং বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, দেশের সেনা প্রতিনিধিদের তিনি বর্তমান রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গারা কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, তা নিয়ে কথা হয়েছে।
রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথ আয়োজনে চার দিনব্যাপী ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের হোটেল সি পার্লে বিভিন্ন দেশের বাহিনীর প্রধানেরা একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক ক‚টনীতি’।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন। এই সম্মেলন এ অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর মধ্যে বৃহত্তম সমাবেশ। এর মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন