যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ সউদী আরব এবং ইরানের সম্পর্ক উন্নয়নে মধ্যস্থতা করছে পাকিস্তান। তাদের প্রচেষ্টায় গালফ উপসাগরের তীরে অবস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুইটির মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পর্কের অগ্রগতি হচ্ছে। সোমবার সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই তথ্য জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাক্ষাতকারটি বুধবার প্রকাশিত হয়।
সউদী তেলক্ষেত্রে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের অনুরোধে গত অক্টোবরে ইমরান খান দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে তেহরান এবং রিয়াদ সফর করেছিলেন। ওই তেলক্ষেত্রটির নিরাপত্তা ও উত্তোলনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত থাকায়, সেই হামলায় তাদের স্বার্থেও আঘাত লাগে। হামলার জন্য তখন ইরানকে দায়ি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রসঙ্গে সাক্ষাতকারে ইমরান খান বলেন, ‘ইরান ও সউদী আরবের আমরা মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এতে অগ্রগতিও হচ্ছে।’ তবে সেই অগ্রগতি ধীর গতিতে হচ্ছে বলেও স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরান ও সউদী আরবের মধ্যে সামরিক সংঘাত এড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।’
প্রসঙ্গক, দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় মিত্র সউদী আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তার আরও অবনতি হয় ২০১৮ সালের মাঝামাঝি, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পারমাণবিক কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার বিনিময়ে তেহরানের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা সংক্রান্ত চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সূত্র: পাকিস্তান ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন