ভরা বর্ষার শ্রাবণ মাস শেষ সপ্তাহে। ঘনঘোর মেঘ-বাদলের শ্রাবণ কখনও প্রায় খরাবস্থা, কখনও হালকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে কেটে যাচ্ছে। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়েও মৌসুম তুলনায় ঢের বৃষ্টি ঝরেছে। বিক্ষিপ্ত মেঘের আনাগোনা বাদে দিনের বেশিরভাগ সময়েই অনেক অঞ্চলেই কড়া সূর্যের তেজ। তাছাড়া বাতাসে জলীয়বাষ্পের মাত্রা বেশি। এতে করে তাপদাহে দুর্বিষহ জীবনযাত্রা।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিক্ষিপ্ত ও সাময়িক বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমে সর্বত্রই বিরাজ করছে অস্বস্তি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় স›দ্বীপে ৫৭, নেত্রকোণায় ৪৫, কক্সবাজারে ৪৩, রংপুরে ৩৪ মিলিমিটার ছাড়া দেশে তেমন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। ঢাকায় মাত্র ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপক‚লের কাছে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মধ্যপ্রদেশ হয়ে লঘুচাপ, পরে মৌসুমী বায়ুর মূল অক্ষের সাথে মিলিত হয়ে কেটে গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপক‚লীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। সমুদ্রবন্দরে দেয়া সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন