সাতক্ষীরায় নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে ইজিবাইক চালক ও স্কুলছাত্র মইনুল ইসলামের (১৫) গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরা শহরতলীর বাকালের আব্দুস সবুরের পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্কুলছাত্র মইনুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরকী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
এছাড়া এ ঘটনায় আটককৃত হুমায়ুন কবীর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন জানান, সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মঈনুল ইসলাম অভাবের কারণে মাঝে মাঝে ইজিবাইক চালাতো। গত ৩১ জুলাই বিকেলে সে তার ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরের দিন তার চাচা পাঁচরকী গ্রামের আফছার আলী সদর থানায় এ ব্যাপারে জিডি করেন। পুলিশ মোবাইল কল ট্রাকিং করে মঈনুলের কাছে শেষ ফোন দেওয়া হুমায়ুন কবীরকে সদর উপজেলার আলীপুর গ্রাম থেকে রোববার আটক করে।
তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার দুপুরে হুমায়ুন কবীরের শ্বশুর বাড়ি শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে মঈনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক উদ্ধার এবং বিকেল ৫টার দিকে শহরতলীর বাঁকালের পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটিক ট্যাংক থেকে পুলিশ মঈনুলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন