ফরিদপুরের অন্যতম লুটেরা ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ফুয়াদ, বাবর ও তাদের সঙ্গীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুরের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহেতাম হোসেন বাবর এবং এপিএস ফুয়াদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করাসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। শুধু দলের নেতা-কর্মীরা নয় এদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সোচ্চার জেলার সাধারণ লোকজন।
এমপির ভাই ও এপিএস ফরিদপুরের প্রতিটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজনকে জিম্মি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আর ফরিদপুর জেলায় দলের ত্যাগী ও প্রকৃত নেতা-কর্মীরা হয়েছেন ফকির। দলের সাধারণ কর্মীরা হামলা ও মামলা আতঙ্কে মুখ খুলেননি। তাদের হাত থেকে নিস্তার পাননি সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা।
এদের অত্যাচার থেকে রেহাই মিলেনি বঙ্গবন্ধুর সাথে আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি মুক্তিযোদ্ধা নূর মো ক্যাপ্টেন বাবুল, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা খান মাহাবুবুর রহমান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, শামসুল হক ( ভোলা মাস্টার), অমিতাভ বোস, সাবেক ছাত্রনেতা খলিফা কামাল উদ্দিন, ফারুক হোসেন, নব্বইয়ের গণআন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা কাজী মোমিতুল হাসান বিভুল সহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মী।
এসব ত্যাগী নেতা ও কর্মীদের বাবর-ফুয়াদরা মিলে সংসদ সদস্যের নির্দেশে হামলা মামলা ও নির্যাতন চালান বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত নেতা কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খান মাহাবুবুর রহমান খান জানান, অতি দ্রুত এসব লুটেরাদের মহানায়ক খন্দকার মোহেতাম হোসেন বাবর ও এমপির এপিএস ফুয়াদসহ সকল দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারের দাবি সবার। তাদের অত্যাচারে ফরিদপুরের ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফরিদপুরের এই শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানান।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনের অন্যতম ছাত্র নেতা ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোমিতুল হাসান বিভুল জানান, বাবর ও ফুয়াদ লুটেরারা টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। আর এ জন্য ফরিদপুরের দলের প্রকৃত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হয়েছেন লুটেরাদের নির্যাতনের শিকার। তিনি এই দুই দুর্নীতিবাজসহ ফরিদপুরের সকল দুর্নীতিবাজদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ জুন থেকে ফরিদপুরে দুর্নীতিবাজ ও টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ জনের বেশি দুর্নীতিবাজতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অপর দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন