গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রস্থাগারের পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরের কাছে রাখা হয়। পরে একটি ট্রাকে করে সেগুলো ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এগুলো যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফের মালিকানাধীন ঢাকার মহাখালীর ক্রিস্টাল ইন হোটেল রাখা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূর উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গত ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জ ও ঢাকার বানানী থানা পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩৪টি কম্পিউটারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার তারা গোপালগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তারা।
এছাড়া কম্পিউটার চুরির মাস্টার মাইন্ড যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফসহ আরও অনেকের নাম বলেছে। তদন্তের স্বার্থে অন্যদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে ২৬ জুলাই ও ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের কম্পিটার চুরির ঘটনা উদঘাটিত হবে। এ চক্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কম্পিউটার চুরির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতার ৭ জনের মধ্যে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ইন্দ্রাকচর গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৪৫) ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার চোরখাই গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির (২৪) ৩৪টি কম্পিউটাসহ ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার তাদের করা হয়। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের অন্য সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল শরীফের ছেলে মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ (২৩), আবুল হোসেন শেখের ছেলে আ. রহমান সৌরভ শেখ (১৯), আইয়ুব শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান ওরফে শান্ত ওরফে কাকন (১৯), কামাল পাশা মিনার ছেলে নাইম উদ্দিন (১৯), ও সালাম হাওলাদার ছেলে নাজমুল হাসানকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন