গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী গত বুধবার রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে থানা ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় রাতেই একটি মামলা দায়ের হলে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটক তিনজনের মধ্যে দুইজন হরিজন সম্প্রদায়ের থাকায় তাদের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন।
গত বুধবার রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সাথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকার হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। এ সময় ৭-৮ জন মিলে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে তাদের উঠিয়ে নিয়ে হ্যালিপাডের পাশেই নির্মাণাধীন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে নিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সাথে থাকা তার সহপাঠিকে মারধর করে গণধর্ষণ করে। পরে খবর পেয়ে সহপাঠিরা ওই শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। গতকাল সকাল থেকে ঘোনাপাড়ায় অবস্থান নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্লাকার্ড নিয়ে মহাসড়কের উপর বসে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান দেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের ফলে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। দ্রæত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, আটক তিনজনের মধ্যে দুই হরিজন সম্প্রদায়ের মুক্তির দাবিতে দুপুরে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের নবীনবাগ এলাকায় সড়কে ময়লা ফেলে অবরোধ করে। এসময় তারা মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে। তারা দ্রুত আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানায়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন