বেলারুশে ২৬ বছর ধরে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জালিয়াতির মাধ্যমে ৯ আগস্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার পর সেখানে গত কয়েক দিন ধরেই চলছে বিক্ষোভ; সেই সব বিক্ষোভে হামলা হয়েছে, আটক করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষ, কয়েক জন মারা গেছেন।
এই পটভূমিকায় রোববার মিনস্কে লুকাশেঙ্কো তার সমর্থকদের এক সমাবেশের আয়োজন করে – আকারে ছোট এই সমাবেশে যারা উপস্থিত ছিলেন তার অধিকাংশই ছিল সরকারি কর্মচারী। সমাবেশে লুকাশেঙ্কো বিক্ষোভকারীদের বর্ণনা করেন 'ইঁদুর', 'আবর্জনা' এবং 'ডাকাত' বলে; বলেন বিক্ষোভকারীরা হচ্ছে ‘বিশ্বাসঘাতক’। লুকাশেঙ্কো তার ভাগ্য আর জাতির ভাগ্যকে অভিন্ন বলেই ঘোষণা দেন; 'তুমি যদি [আজ] লুকাশেঙ্কোকে ধ্বংস করো তবে তা হবে তোমার শেষের সূচনা'।
স্বৈরশাসকের এই ঔদ্ধত্বের জবাব দিয়েছে বেলারুশের জনগণ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। মিনস্কের কেন্দ্রস্থলে সমবেত হয়ে আওয়াজ তুলেছে লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের, আওয়াজ তুলেছে গণতন্ত্রের, আওয়াজ তুলেছে ভোটাধিকারের।
বেলারুশে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর জনসভার তুলনায় অনেক বড় মিছিল করলেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা প্রমাণ করে দিলেন, তাদের পাশে বেশি মানুষ আছেন।
বেলারুশের ৬৫ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ''আমাকে রক্ষা করার দরকার নেই। আপনারা দেশকে রক্ষা করুন।'' প্রেসিডেন্টের জনসভায় ছিলেন হাজার পাঁচেক মানুষ। তিনি যখন দেশরক্ষার আহ্বান জানাচ্ছেন, তখন বেলারুশের বিভিন্ন শহরে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবিতে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী শ্বেতলানা এখন লিথুয়ানিয়াতে আছেন। তার দাবি, আবার ভোটগণনা করতে হবে। আর ক্ষমতার হস্তান্তরের জন্য একটা জাতীয় পরিষদ গঠন করতে হবে। ডয়চে ভেলে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন