শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রেলপথে আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ

বেনাপোলে বাড়তি রাজস্ব আয়

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে রেলপথে আমদানি-বাণিজ্যে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। ফলে আমদানিকারকদের ভোগান্তি কমেছে। ফিরেছে স্বস্তি। সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়তে শুরু করেছে হু হু করে।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, মূলত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২২ মার্চ রেল ও স্থলপথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।

আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে ৫ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল হলেও এ পথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সচলে নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল করার নির্দেশনা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাঁধার কারণে আমদানি রফতানি বাণিজ্য চালু হতে দীর্ঘ সময় চলে যায়। এ সময় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির বিষয়টি জানালেও সচল হয়নি বাণিজ্য।

পরে রেল কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে বিকল্পভাবে বাণিজ্য সচল করতে রেলপথে সাইড ডোর ট্রেনের মাধ্যমে শুরু হয় রেল বাণিজ্য। পার্সেল ভ্যানে দুই দেশের মধ্যে আমদানি বাণিজ্য চুক্তি হয়। বর্তমানে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথে কার্গো রেল, সাইড ডোর কার্গো রেল এবং পার্সেল ভ্যানে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্য চলছে। এতে ব্যবসায়ীদের যেমন দুর্ভোগ কমেছে, তেমনি বাণিজ্যে গতি বেড়ে সরকারেরও রাজস্ব আয় বাড়তে শুরু করে। রেলপথে বাণিজ্য প্রসার ঘটায় স্বস্তি ফিরে আসে বন্দর শ্রমিকদের মধ্যে।

করোনার কারণে কাজ কমে যাওয়ায় শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছিল। বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, স্থলপথে ভারতের বনগাঁও কালিতলা পার্কিং এ আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক থেকে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করায় ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের লোকসান দিয়ে এই পথে আমদানি করতে অনিহা প্রকাশ করে। অন্যদিকে পট্রাপোল বন্দরে অবরোধ, হরতাল, শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় পণ্য পরিবহন করতে না পেরে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে অনেক ক্ষেত্রে এক মাসেরও অধিক সময় লেগে যেত। রেলপথে সব ধরনের পণ্যের আমদানি হতে সময় লাগে মাত্র ৩ দিনে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান জানান, করোনার কারণে ভারতের পেট্রাপোলের এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাসের পর মাস ট্রাক আটকে রেখে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছিল। ফলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কথা মাথায় রেখে রেলপথে শুরু হয় আমদানি বাণিজ্য। চলতি অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা পুরন সম্ভব হবে বলে আশা করি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন