রূপকথার মতো অসাধারণ এক যাত্রায় দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে, একের পর এক অঘটনের জন্ম দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। আরেকটি নতুনের জন্ম দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েই দলটি নেমেছিল মাঠে। তবে কোনো অঘটনের সুযোগ না দিয়ে লাইপজিগের স্বপ্ন গুড়িয়ে নতুন রূপকথার জন্ম দিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই।
মঙ্গলবার রাতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে জার্মানির দলটিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার গল্প লিখল পিএসজি। ইতিহাস গড়ে ফাইনালে উঠা ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের জয়টি ৩-০ গোলের।
নিষেধাজ্ঞা থেকে এদিন ফিরেছিলেন দলের অন্যতম সেরা তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। আর ইনজুরি থেকে সম্পূর্ণ ফিট হওয়া কিলিয়ান এমবাপেকেও শুরু থেকে পায় পিএসজি। যদিও নিয়মিত গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ঠাড়াই মাঠে নামতে হয়েছিল তাদের।
তবে আক্রমণভাগের সেরা তারকাদের ফেরত পেয়ে শুরু থেকেই গোছানো ফুটবল উপহার দেয় টমাস টুখেলের দল। লাইপজিগকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় তারা।
মাত্র ১১ বছর আগে ফুটবলে পথচলা শুরু করা লাইপজিগ চমক জাগানোর চেষ্টা করে এই ম্যাচেও। সুযোগও পেয়েছিল তারা, কিন্তু বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতার অভাবে সাফল্য মেলেনি। প্রতিপক্ষকেও পারেনি আটকে রাখতে।
ম্যাচের শুরুতে মার্কিনিয়োসের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। আর দ্বিতীয়ার্ধে তৃতীয় গোলটি করে লাইপজিগের স্বপ্নের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন হুয়ান বের্নাত।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বুধবার রাতে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও অলিম্পিক লিওঁ। এই ম্যাচের বিজয়ীর বিপক্ষে আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে নামবে টমাস টুখেলের দল।
এরই সাথে শেষ হলো একের পর এক বিস্ময়ের জন্ম দেওয়া লাইপজিগের পথচলা। করোনাভাইরাসের প্রভাবে এক লেগের নক-আউট পর্বের শেষ ষোলোয় ইংলিশ দল টটেনহ্যাম হটস্পার ও কোয়ার্টার-ফাইনালে স্প্যানিশ দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারায় জার্মান দলটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন