একের পর এক চমক উপহার দিয়ে এক দশক পর উঠেছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। দারুন ফুটবলের পসরা সাজিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে ওঠার পথও তৈরী করতে চলেছিল অলিম্পিক লিওঁ। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে মাঠে নামা ফরাসি দলটি লড়াই করল ভালোই। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় তাদের কপালে জুটল শুধুই হতাশা।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল বায়ার্ন মিউনিখ। আরও একবার নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিয়ে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা জায়গা করে নিল ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের ফাইনালে।
বুধবার রাতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও হোসে আলভালাদেতে তাদের জয়টি ৩-০ গোলের। প্রথমার্ধে জার্মান পরাশক্তিদের পক্ষে জোড়া গোল করেন সার্জ জিনাব্রি। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ ম্যাচে এটা তার নবম গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আসরে নিজের ৯ম ম্যাচে ১৫তম গোলটি করে ব্যবধান বাড়ান রবার্ত লেভান্দোভস্কি। আসরের সব ম্যাচে গোল পাওয়া পোলিশ স্ট্রাইকারের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে মোট গোল হলো ৫৫টি।
এই জয়ে সেমি-ফাইনাল গেরোও খুলতে পারলো এর আগে চারটি আসরে শিরোপার খুব কাছ থেকে বিদায় নেওয়া দলটি। সব মিলিয়ে ১১তম বারের মতো ফাইনালে উঠল বাভারিয়ানরা।
শিরোপা লড়াইয়ে আগামী রোববার পিএসজির মুখোমুখি হবে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। লাইপজিগকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্সের দলটি।
এমন ম্যাচে ঠিক কাকে দুষবেন লিঁও কোচ রুদি গার্সিয়া; নিজের ভাগ্যকে নাকি খেলোয়াড়দের? কারণ তিন তিনবার যে সুযোগ মিস করেছেন তার ফরোয়ার্ডরা, তা এক প্রকার অবিশ্বাস্যই বটে। ফাঁকায় গোলরক্ষককে পেয়েও একবারও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।
কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করা বায়ার্নের দুর্ভাবনার কারণ হতে পারে তাদের রক্ষণ। লিওঁর গতিময় আক্রমণে তাদের রক্ষণের দুর্বলতা বারবার ফুটে উঠেছে। ফাইনালেও এই দশা থাকলে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপেদের বিপক্ষে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে হান্স ফ্লিকের দলকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন