ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অবৈধ অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নিহতরা লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ৮০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ছোট ওই নৌযানটির ইঞ্জিন বিষ্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ৪৫ জন প্রাণ হারান। স্থানীয় জেলে ও মৎসজীবীরা ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে এটি চলতি বছরের সবচেয়ে মারাত্বক অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা। সোমবার নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বুধবার জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর- এর পক্ষ থেকে বুধবার বলা হয়, লিবিয়ার জাওয়ারা উপকূলে ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ ছিল। এর মধ্যে ৩৭ জনকে স্থানীয় জেলেরা জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তাঁরা মূলত সেনেগাল, মালি, চাঁদ ও ঘানার নাগরিক। ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী ওই দুর্ঘটনার পর বুধবার যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এমন তথ্য দিয়ে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থা দুটি বলছে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান ছাড়া ভূমধ্যসাগরে আরও অনেকের প্রাণহানি ঘটবে।
চলতি বছর লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় কমপক্ষে ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে লিবিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন