গ্রিসের এজিয়ান সাগরে আবারো নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও একজন শিশু। বাকিরা এখনও নিখোঁজ আছেন।
গ্রিসের কোস্টগার্ড বাহিনীর বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া ওই নৌকাটি থেকে ৬৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার পাওয়া এই যাত্রীদের বরাত দিয়ে কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে যাত্রী ছিল ৯০ জনের বেশি এবং তাদের সবাই অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী। তুরস্কের কেসমে ও বদরুম উপকূল থেকে তারা নৌকায় উঠেছিলেন, গন্তব্য ছিল ইতালি। যাত্রাপথে শনিবার পারোস দ্বীপের কাছে ডুবে যায় নৌকাটি। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গত ৫-৬ বছর ধরে ভূমধ্যসাগর ও এজিয়ান সাগরের তুরস্ক ও লিবিয়ার উপকূল থেকে গ্রিস এবং ইতালির উপকূলে পৌঁছানোর জন্য কয়েক লাখ মানুষ সাগর পাড়ি দিতে নামছেন এবং প্রতি বছরই এই প্রবণতা বাড়ছে। এই অভিবাসীদের বড় অংশই এশিয়া, আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলো থেকে আসা এবং মানবপাচারকারীদের হাতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এই ভয়ঙ্কর বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দেওয়ার উদ্যোগ নেন তারা।
খারাপ আবহাওয়া, নৌকায় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনাও খুব সাধরণ ব্যাপার। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর সলিল সমাধি ঘটেছে ভূমধ্যসাগর ও এজিয়ান সাগরে।
গ্রিস কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ২ জনকে মানব পাচারকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন যে তারা উভয়ই মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
এখনও যারা নিখোঁজ আছেন, তাদের সন্ধান পেতে কোস্টগার্ডের তিনটি টহল নৌকা, নৌযান একটি বিমান সাগরে টহলদারি চালাচ্ছে বলে আলজাজিরাকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সূত্র : আল জাজিরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন