বিনোদন ডেস্ক : সিনেমা হলগুলো বাঁচানোর জন্যই আমরা ভারতীয় সিনেমা আমদানির পক্ষে কথা বলেছি। কিন্তু দেশিয় সিনেমাকে অবহেলা করে ভারতীয় সিনেমা আমদানির পক্ষে আমরা নই। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ স¤পাদক মিঞা আলাউদ্দিন। সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সিনেমা হল মালিকদের সংগঠন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বাংলাদেশের বেশকিছু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্র কেলোর কীর্তি। ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ছবিটি আমদানির ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় অস্বাভাবিক সহযোগিতা আমাদের বিস্মিত করেছে। সিনেমা হল বাঁচলেই, চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে-এ সেøাগান নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শক সমিতির লিখিত বক্তব্য পড়েন সমিতির সহ-সভাপতি সুদীপ কুমার দাশ। এতে বলা হয়, দেশের সিনেমা হলগুলো বাঁচাবার জন্য গত পাঁচ ছয় বছর ধরে আমরা চেষ্টা চালিয়ে আসছি। আমাদের সমিতির পেশ করা প্রস্তাব ও প্রচেষ্টার ফলেই ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি সাফটা ভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানির বিপরীতে ছবি আমদানির সুযোগ বাংলাদেশ সরকারের আমদানি নীতিতে সংযুক্ত করা হয়। এই নীতি মেনেই আমরা ছবি আমদানি করেছি। কিন্তু এই রপ্তানি-আমদানিতে আমরা তথ্যমন্ত্রণালয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এবার কেলোর কীর্তি নামক কলকাতার ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ছবিটি আমদানির ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অস্বাভাবিক সহযোগিতা আমাদের বিস্মিত করেছে। প্রদর্শক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারতীয় সিনেমা আমদানির বিপক্ষে আমরা নই। তবে সিনেমা আমদানি-রপ্তানি হতে হবে সমতার ভিত্তিতে। দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি এখন একজন নায়কের উপর নির্ভরশীল। ফলে দর্শককে ভিন্ন স্বাদের সিনেমা দেখাতেই ভারতীয় সিনেমা আমদানি করছি। তিনি বলেন, সিনেমা আমদানি অবশ্যই সমতার ভিত্তিতে হতে হবে। আমাদের একটি সিনেমা সেখানে সেন্সর হওয়ার পর সেখানে কোন একটি হলে চালাতে হবে। এরপর ভারতীয় কোন সিনেমা এদেশে আমদানি করা যাবে। এদেশের সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ভারতীয় সিনেমা আমদানি করবে এবং বাংলাদেশি সিনেমা রপ্তানি করবে। একই সঙ্গে ভারতীয় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশের সিনেমা আমদানি করবে এবং ভারতীয় সিনেমা রপ্তানি করবে। কিন্তু কেলোর কীর্তি সিনেমাটি ভারতীয় ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের প্রতিনিধির মাধ্যমে এদেশে চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আগে যেমন সিনেমা আমদানির পক্ষে ছিলাম, এখনও আছি। আমাদের বিশ্বাস ভারতীয় সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রণালয়ের এই সহযোগিতা আগামীদিনে ও সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। দেশীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নয়, কেবল মাত্র সিনেমা হল বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন