কুড়িগ্রামের উলিপুরে ২য় স্ত্রীর সাথে ফুসকা খাওয়ার সময় স্বামীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গেলো প্রথম স্ত্রীর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (২৩ আগষ্ট) রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ পন্ডিত পাড়া গ্রামের নুরবক্ত আলীর পুত্র আশরাফুল আলমের (২৮) সাথে প্রায় ৮ বছর পূর্বে পাশ্ববতী ধামশ্রেনী ইউনিয়নের যাদুপোদ্দার গ্রামের আজিজার রহমানের কন্যা আর্জিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। এরপর প্রায় দুই বছর পূর্বে আশরাফুল আলম পৌরশহরের জোনাইডাঙ্গা গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে শামীমা আক্তার সুমির (২১) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে তাকেও বিয়ে করেন। কিছুদিন পূর্বে এ ঘটনা ফাঁস হলে প্রথম স্ত্রীর সাথে আশরাফুল আলমের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
সোমবার (২৪ আগষ্ট) বিকালে ওই যুবকের ২য় স্ত্রী সুমি ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঘটনারদিন রোববার রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে কাচারী পুকুর পাড়ে স্ত্রী, শ্বাশুরি ও দুই শ্যালিকাসহ ফুসকা খেতে আসে আশরাফুল আলম। ফুসকা খাওয়ার সময় ওই স্থানে হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে দাড়ায়। মাইক্রোবাসে থাকা প্রথম স্ত্রী আর্জিনার ভাইসহ কয়েকজন যুবক গাড়ি থেকে নেমে কৌশলে আশরাফুল আলমকে ডেকে নেয়। এসময় তারা আশরাফুল আলমকে জোর পূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। তখন স্ত্রী সুমি স্বামীকে রক্ষা করার জন্য গাড়িতে উঠার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এরপর গাড়িটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় সুমি গাড়ির পিছনে কান্না করতে করতে ছুটতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে থানা পুলিশে খবর দেন। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে রাতেই সুমির কথামত পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আশরাফুল আলমকে উদ্ধার করতে পারেনি।
উলিপুর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন জানান, ওই যুবককে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন