ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে মারুতি ও মাইক্রোবাসে যাত্রী পরিবহন বন্ধ ও এসব যানবাহন অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাস শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকায় ওই মানববন্ধন করেন শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে হাইওয়ে মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কে. এম জামাল জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সরকার দেশের অন্যান্য মহাসড়কের ন্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশেও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করেন। সেই সুযোগে যাত্রী পরিবহনে মহাসড়কে চলাচল শুরু করে প্রাইভেট পরিবহন মাইক্রোবাস ও মারুতি। ওইসব যানবাহনে কম দূরত্বের যাত্রী উঠানো-নামানোর কারণে সবসময়ই দরজা খোলা রাখা হয়। যে কারণে এসব যানবাহন দরজা খোলা গাড়ি নামেও পরিচিত। সেগুলোর অধিকাংশরই নেই ফিটনেস ও রোড পারমিট।
মানববন্ধনে বলা হয়, গত ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ মাইক্রোবাস ও মারুতি অপসারণ করে যাত্রীদের নিরাপদ চলাচলে হাইওয়ে মিনিবাস চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক মিনিবাস মালিক সমিতি ইলিয়টগঞ্জ থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত ৫০টি এবং ক্যান্টনমেন্ট থেকে মিয়ারবাজার পর্যন্ত ৩০টি মিনিবাস সার্ভিস চালু করে। বিধিমোতাবেক রোড পারমিট ও রেজিস্ট্রেশনও প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বল্প দূরত্বের যাত্রী পারাপারে মালিকরা ধারদেনা ও ব্যাংক ঋন করে মহাসড়কে মিনিবাস নামানোর এক বছরেও ওইসব অবৈধ মাইক্রোবাস ও মারুতি মহাসড়ক থেকে অপসারণ করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন