শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মামলার নথি চেয়ে আবেদন হাইকোর্টে

জীবিত স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’র স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

স্কুলছাত্রী দিশাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে-মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো গণমাধ্যমে। এ সংবাদের ৪৯ দিন পর সশরীরে ফিরে আসে দিশা। ধর্ষণ শেষে হত্যা এবং নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রচারিত হয়েছিলো সেসব প্রতিবেদন। তাহলে আসামিরা কিভাবে জীবীত স্কুল ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’,‘হত্যা’ এবং পরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার স্বীকারোক্তি কিভাবে দিয়েছিলেন-এ প্রশ্ন তোলা হয়েছে হাইকোর্টে। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট শিশির মনিরসহ পাঁচ আইনজীবী মামলার বিষয়ে একটি রিভিউ পিটিশন দেন। এ আইনজীবী জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করা মামলা এবং মামলা পরবর্তী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা,বৈধতা এবং যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলার নথি তলবেরও আবেদন করা হয়। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মূল মামলার বাদী এবং আসামিদের বিবাদী করা হয়েছে।এর আগে গত ২৪ আগস্ট ‹ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন› শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হাইকোর্টে উপরোক্ত আবেদন জানানো হয়।

প্রসঙ্গত: গত ৪ জুলাই পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী দিশা নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। স্বীকারোক্তিতে জানায় যে, তারা দিশাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। জবানবন্দী গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট দিশাকে খুঁজে পাওয়া যায়। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে,আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিলো ?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন