বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চুমকি কারণ কোথায়

ওসি প্রদীপ দম্পতির দুর্নীতির তদন্ত শুরু

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০৪ এএম

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খুনের আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই মামলার প্রধান আসামি চুমকিকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার চার দিন পরও তাকে ধরতে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই সুযোগে তার অবস্থান নিয়েও নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।

সবার প্রশ্ন চুমকি কারণ এখন কোথায়। প্রতিবেশিরা বলছেন, মামলা হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটার লক্ষীকুঞ্জের বাড়িতে তাকে দেখা যাচ্ছে না। বাসা থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কেউ বলছেন তিনি নগরীর নালাপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাসায় আছেন। কারো কারো মতে এই নগরীতেই তার নামে বেনামে একাধিক ফ্ল্যাট আছে। তিনি তার কোনটাতে থাকতে পারেন।

তাকে আড়াল করতে তিনি পালিয়ে গেছেন বলেও কেউ কেউ প্রচার করছেন। আবার তাকে গ্রেফতার না করে কৌশলে উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, চুমকি তাদের নজরদারিতেই আছেন। যে কোন সময় তাকে পাকড়াও করা হবে। তিনি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত রোববার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলা হয়। মামলাটি দায়ের করেন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করেন তিনি। তিনিই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। তাকেই এখন মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, একদিন আগে মামলার তদন্তভার পেয়েই কাজ শুরু করেছি। তদন্তের প্রয়োজনে যে কোন সময় প্রধান আসামি চুমকি কারণকে গ্রেফতার করা হবে। মামলায় প্রধান আসামী চুমকি কারণ। প্রদীপকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ও অনুসন্ধানে দুদক নিশ্চিত হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির নামে যেসব অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তা প্রদীপ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন