পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এই ফলশ্রুতি দিনি আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক ও বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। তিনি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করছেন। বিশেষ আফগানস্তিানে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেন। যাতে এই অঞ্চলে শান্তি বজায় থাকে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় এ সম্পর্ক আরো উন্নত করা জরুরি।
তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরে পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করছে। পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই-কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেছে ইমরান খান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে সৌদি আরব ও তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে ইমরান খান গত এপ্রিল মাসে তেহরান সফর করেছিলেন এবং সে সময় তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয়, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে ইমরান খান মধ্যস্থতার ভূমিকায় নেমেছেন। ইমরান খানের সফরকে তেহরান স্বাগত জানায়। সে সময় তিনি সৌদি আরবও সফর করেন।
এআরওয়াই চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান ইরানের নগর ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে রাজধানী তেহরানের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান এ ক্ষেত্রে যে নজির স্থাপন করেছে তাতে লাহোর ও করাচি শহরের জন্য তা মডেল হতে পারে। পার্সটুডে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন