শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সিনহা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে

চট্টগ্রামে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনাকে নৃশংস এবং অত্যন্ত জঘন্যতম উল্লেখ করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আশা করি যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত আর কারও সঙ্গে না হয়। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সেনানিবাস ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারের রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সেনাবাহিনী প্রধান এসব কথা বলেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, আমি বলব, এটা একটা নৃশংস এবং অত্যন্ত জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত হচ্ছে। আমি সেনাপ্রধান হিসেবে আশা করতে চাই, তদন্তটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। এ হত্যা মামলার তদন্তে সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তদন্তে সন্তুষ্ট কি না এটাও এখন বলা যাবে না। তদন্তে কি বেরিয়ে আসে সেটা দেখি এবং সাজাটা যখন হবে, তখনই সন্তুষ্টির বিষয়টা আসবে। তার আগে সন্তুষ্টির বিষয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই
কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় একটি পক্ষ ‘অন্যায্য বিশেষ সুযোগ’ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এরকম একটি ঘটনা নিয়ে ‘অন্যকিছু করার চেষ্টা’ কাক্সিক্ষত নয়। সেনাপ্রধান বলেন, একটা ঘটনা ঘটলে কেউ না কেউ অন্যায্য বিশেষ সুযোগ নিতে চায়। এবারও অনেকে চেষ্টা করেছিল। হয়তো এখনও করছে। এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে, তবে সচেতন মানুষ এগুলো বোঝে। একটা ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই অত্যন্ত নৃশংস, ন্যাক্কারজনক। সেটা শুধু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেই ঘৃণা জানানো হয়নি, পুলিশপ্রধানও এসেছিলেন, তারাও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সকলেই এই ঘটনার জন্য মর্মাহত।
সিনহা হত্যাকান্ডের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা রোধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারকে কোনো সুপারিশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ এই ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে একটা যৌথ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের প্রতি সেনাবাহিনী এবং আমি নিশ্চিত পুলিশবাহিনীরও সমর্থন আছে। এই তদন্ত দল যেটা উপযুক্ত মনে করবে, তারাই সুপারিশ করবে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের অস্বাভাবিক কিছু যদি হয়, সেটা আমাদের অভ্যন্তরে তদন্ত হয়। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ আমরা দিয়েছিলাম, তদন্ত হচ্ছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কালার প্রদান করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। চট্টগ্রাম সেনানিবাস ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লে. জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
আইএসপিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিট সমূহ কর্তৃক সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, ১৮ বীর, ২০ বীর, ২১ বীর, ২২ বীর এবং ২৩ বীর কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ঊধ্বর্তন সেনাকর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Abdullah ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:৫৫ পিএম says : 0
এ খুনের দৃষ্টান্তমুলক হউক দেশেরমানুষও তাই চায়।
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:২৭ পিএম says : 0
সেনাবাহিনীর প্রধান আপনাকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের পক্ষে অসংখ্য দোয়া ও সালাম। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মেজর শহীদ সিনহার মাকে গভীর সহানুভূতি জানিয়ে ফোন করে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন অপরাধীর বিচার হবে। বাংলাদেশের গৌরবময় সেনাবাহিনীর প্রধান আপনার সাহসিকতার দৃঢ আওয়াজ সমগ্রজাতি সত্যি আশান্বিত আশাবাদী বিচার হবেই নৃশংসভাবে হ্নদয়হীন ভাবে ভয়াবহ যন্ত্রণাদিয়ে প্রকাশ‍্যে গুলি করে লিয়াকত এবং গলায় পা দিয়ে পাষন্ড হত‍্যাকারি মৃত্যু যন্ত্রণা দিয়ে ভয়ংকর মৃত্যুর জন্য দায়ী সাবেক ওসি প্রদীপ মৃত্যুদণ্ডাদেশের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়া বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনী সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের মানুষের তীক্ষ্ম দৃষ্টি এই বিচারের কি রায় হয় দেখার জন্যে।। এখানে নয় ছয় করার কোন বিচারপতির কারো সাদ্ধ নেই। কারণ রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান। রাষ্ট্রের সেনা প্রধান।পুলিশ প্রধান। সব প্রধান জড়িত। আইনের মাঝেই সবকিছু ঠিক ভাবেই চলছে মনে হয়। কিছু অর্থলোভি ভিখারী আইনের পোষাক পরা দালালদের টাকার লোভ সামলানো সম্ভব হয়নি ঐ আইন জীবীদের চট্টগ্রামের মানুষের চট্টগ্রামের বারের বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাদের পরিবারের স্ত্রী সন্তান ঐ হারামের টাকার উপার্জন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া উচিত বলে মনে করি। আইন শৃংখলা বাহিনী ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্টানের অবশ্যই ন‍্যায় বিচারের স্বার্থে বাদী সাক্ষীদের নিরাপত্তাব্যবস্থা সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে বিচার পাবেন মেজর সিনহার পরিবার ও দেশজাতি। প্রমান হবে আইনের উদ্ধে কেও নয়।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১২ পিএম says : 0
প্রথমেই আমি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে জানাই আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) অর্জিত লাল সবুজের সালাম। র্যা বের (RAB) তদন্তে রিমান্ড থাকাকালীন সময়ে প্রদীপ বাবুর নীরবতা জনগণকে আতঙ্কিত করেছিল। সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বক্তব্যের পর আর সেই আতঙ্ক থাকলনা। আমি ইনকিলাব পত্রিকায় ‘রিমান্ডে প্রদীবের নীরবতার রহস্য’ শিরনামের সংবাদে মন্তব্য করে সেখানে বলেছি ১৫ দিনেও প্রদীপ বাবুর মুখ খোলাতে পারেনি এটাই হচ্ছে র্যা বের (RAB) ব্যার্থতার ইতিহাস। অপরদিকে ১৫ দিন রিমান্ডে থেকেও একটা কথা বলেনি ওসি প্রদীপ বাবু এটাও একটা ইতিহাস বটে। আমি ভেবেছিলাম প্রদীপ বাবুকে আর ছাই দিয়ে ধরা যাবেনা কারন তাঁর এই নীরবতাকে আদালতে শুনানীর সময়ে তাঁর পয়সায় পালিত উকিলেরা বলবে প্রদীপ বাবু মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে কাজেই এধরনের মানুষের বিচার হতে পারেনা। ফলে প্রদীপ বাবুর স্থান হতো হাসপাতাল সেখানে কয়েক বছর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিদেশে গিয়ে প্রদীপ বাবু আর ফিরে আসতেন না। কিন্তু এখন উপরের সংবাদ অনুযায়ী বলা যায় সেনাবাহিনী এই মামলার উপর পূর্ণ নজর দিয়ে বসে আছে কি হয় দেখার জন্যে। এদিকে সাংবাদিকেরা সুযোগ পেয়ে সেনাপ্রধানকে মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যা মামালার উপর প্রশ্ন করে সেনাদের মনভাব প্রকাশ করেছে যানাকি র্যা বের (RAB) তদন্ত কারীদের জন্যে একটা হুশিয়ার বাণী হিসাবে গণ্য হবে। অনেকেই বলছেন, প্রদীপ বাবুর চালবাজি প্রকাশিত হবার পরই সাংবাদিকের সুযোগ হয়েছিল সেনাপ্রধানকে এর উপর প্রশ্ন করে সেনাবাহিনীর মনভাব জানার। অনেকেই বলছেন, একই ভাবে সেনাপ্রধানও তাদের মনভাব প্রকাশ করতে কার্পণ্য করেননি সড়াসড়ি ভাবেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে বিষয়টা খোলাশ করেছেন। এখন সাধারন জনগণ আশান্বিত হয়েছে যে, প্রদীপ বাবুকে বাচানোর জন্যে প্রভাবশালীরা যতই চেষ্টা করুক না কেন শেষ রক্ষা করতে অবশ্য পারবেনা বা সেনাবাহিনী সেটা (কোন রকম কারচুপি) করতে দিবে না। আল্লাহ্‌ কোন না কোন ভাবে আমাদেরকে দিয়েই আমাদেরকে শাসন করে থাকেন। আমিন
Total Reply(0)
Boro Saheb ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৫ এএম says : 0
Army as well as 17 crrore people's demand - hang Liaqot and prodip Kumar for murdering Major Sinha.
Total Reply(0)
Tanin Mahadi ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৫ এএম says : 0
না হলে কী হবে??
Total Reply(0)
Kaziabul Kashem ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৬ এএম says : 0
ভাই, সেনাপ্রধান জুনিয়রদের মনোবল উন্নত করার জন্য বলেছেন।
Total Reply(0)
Md MostafizurRahman Banijjo ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৬ এএম says : 0
শাসন ও বিচার ব্যাবস্থা এতটাই অবিশ্বাসের জায়গায় পৌচেছে যে সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিচার সেনাপ্রধানের চাইতে হচ্ছে।
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:০৬ এএম says : 0
স্যার আপনার মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত এই ঘটনাবলী সাংঘাতিক ভাবে প্রমাণিত প্রমানের জন্য কালক্ষেপন করার কোন প্রয়োজন নেই শাস্তি নিশ্চিত হোক যাতে দ্বিতীয় মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাসেদের মত ঘটনাবলী বাংলার জমিনে আর না ঘটে।।।।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন