শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ এর আত্মপ্রকাশ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

গীতিকবি সংঘ ও মিউজিক কম্পাজারস অ্যাসোসিয়েশনের পর এবার ঐক্যবদ্ধ হলেন দেশের কণ্ঠশিল্পীরা। দুই মাসের নানা প্রস্তুতি শেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর ঐকমত্য পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছেন তারা। তাদের সংগঠনের নাম কণ্ঠশিল্পী পরিষদ, বাংলাদেশ। সংগঠনের আহবায়ক বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। কমিটিতে উপদেষ্টামন্ডলী হিসেবে আছেন সৈয়দ আবদুল হাদী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, খুরশীদ আলম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, লিনু বিল্লাহ, শাহীন সামাদ, পাপিয়া সারোয়ার, ফেরদৌস আরা, তপন মাহমুদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা ও ইয়াকুব আলী খান। সংগঠনটির আহবায়ক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, বাংলা গানের রয়েছে এক অভ‚তপূর্ব ক্ষমতা ও ঐতিহ্য। সংস্কৃতির সকল ধারার মধ্যে গান মুহূর্তেই ছুঁয়ে যেতে পারে কোটি হৃদয়, জাগিয়ে তুলতে পারে চেতনা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রাম, স্বাধীনতাসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে উদ্দীপনা জুগিয়েছে সঙ্গীত। ২০২১ সালে পালিত হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ দীর্ঘ ৫০ বছরেও অবহেলিত সংগীতাঙ্গনের মানুষদের জন্য কোনও সুষ্ঠু রূপকল্প বা নীতিমালা তৈরি করা যায়নি। সংস্কৃতির অন্য সব ধারায় আছে শক্তিশালী সংগঠন। তারা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারেন। কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে এক বৃহৎ ঐক্যের দুয়ার খুলে গেল। যুগ্ম আহবায়ক কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, করোনাকালে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় কর্মহীন পার করে হাঁপিয়ে উঠেছেন শিল্পী সমাজ। কণ্ঠশিল্পীদের আয়ের প্রধান মাধ্যম স্টেজ। আর সেটা আজ বন্ধ। এ বাস্তবতা সংঘবদ্ধভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। এ কথা সত্য, আমাদের দেশের বরেণ্য শিল্পীরা গানকে ভালোবেসে সৃষ্টিতেই মগ্ন থাকেন। তারা অর্থের দিকে কখনোই ধাবিত হন নাই। কিন্তু নিজের সৃষ্টির প্রাপ্য অন্যের ঘরে দীর্ঘদিন ধরে চলে যাওয়ায় তা বন্ধে ঐক্যের প্রয়োজন। একজন সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টি তার এবং তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে একমাত্র সম্পদ। তা সংরক্ষণে আমরা বদ্ধপরিকর। শিল্পীরা চান, তাদের সৃষ্টির যোগ্যতা নিয়ে স্বাবলম্বী হতে। এই স্বপ্নকে সামনে রেখে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের অগ্রজ এবং নবীন প্রগতিশীল কণ্ঠশিল্পীদের সংগঠিত করে আমরা সজ্ঞানে, সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ গঠন করতে পারায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন এ সংগঠনের ২৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে আছেন- ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, সাদি মহম্মদ, কিরণ চন্দ্র রায়, তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, অদিতি মহসিন, খায়রুল আনাম শাকিল, শফি মন্ডল, রবি চৌধুরী, এস আই টুটুল, আগুন, আঁখি আলমগীর, চন্দন সিনহা, দিনাত জাহান মুন্নী, অনিমা রায়, প্রিয়াংকা গোপ, মঈদুল ইসলাম খান শুভ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাস, সোমনুর মনির কোনাল ও ইলিয়াস হোসাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন