পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সদর গলাচিপা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের জহিরুল খলিফা গত ২৯ আগস্ট রাতে বাসার নিকটে প্রধান রোডের উত্তর পাশে নিজের হাঁস, মুরগী ও মাছের খাদ্য বিক্রির দোকান থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। জহিরুল খলিফার পাশের দুই দোকানদার মো. জসিম ও মো. হানিফ চৌকিদার একই সাথে দোকান বন্ধ করে বের হয় বলে জানা যায়।
জহিরুল খলিফার কাছে তার স্ত্রী রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ফোন করে। তখন জহিরুল বলে তোমরা শুয়ে পর আমি আসতেছি। এরপর জহিরুল খলিফা আর বাসায় ফিরেনি। সকালে কালিকাপুর নুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার জামে মসজিদের পাশে পুকুরে জহিরুল খলিফার ভাসমান লাশ দেখা যায়। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। জানা যায়, জহিরুল খলিফার চাচা মো. নুরুল আমিন খলিফা এর সাথে বিরোধের কারণে জহিরুল খলিফার বড় ভাই মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে পটুয়াখালী জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার কাউন্টারে বিবাদী মো. নুরুল আমিন খলিফা পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাবালী থানায় জহিরুল খলিফা, তার বড় ভাই মো. মনিরুজ্জামান ও ভগ্নিপতি মো. লিটন মাস্টারের নামে ৩০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেন। লাশের শরীরে রক্তক্ষরণ হয়। পুকুর ঘাটে তার জুতা, সন্তানের ওষুধ, জাম্বুরা ও মোবাইল ইটের দুটো খন্ড পাওয়া যায়।
জহিরুল খলিফার চাচাত চাচা মেম্বর গোলাম হোসেন খলিফার সাথে মোবাইলে তিনি বলেন, জহিরুল খলিফা স্বাভাবিক ভাবে মৃতবরণ করেনি। কেহ না কেহ তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রেখেছে এবং জহিরুল খলিফার আপন চাচা যার সাথে মামলা চলছে সেই মো. নুরুল আমিন খলিফার কাছে প্রশ্ন করলে তিনি ও তার চাচা গলাচিপা পৌরসভার মেয়র একই কথা বলেন। জহিরুলের মা মাহিনুর আমিন, স্ত্রী ও বড় ভাই জহিরুল খলিফার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত করে বিচার দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন