পারিবারিক কলহের জের ধরে শিবপুরের কুমরাদী গ্রামে ভয়াবহ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাদল মিয়া নামে এক ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রির হাতে খুন হয়েছেন বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। বাদলের স্ত্রী নাজমা বেগমকেও সে খুন করে। গতকাল রোববার ভোরে নিহত তাজুল ইসলামের বাড়িতে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, ৮/৯ বছর আগে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া শিবপুরের দুলালপুর এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তারা কুমরাদী গ্রামের তাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিল। সাথে ছিল নাজমা বেগমের আগের সংসারের তিন পুত্র-কন্যা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া পাঁচ মাস আগে নাজমা বেগমকে ভাড়াটে বাড়িতে রেখে চলে যায়। কিছুদিন পূর্বে নাজমা বেগম তার স্বামী বাদল মিয়াকে খুঁজে বের করে ভাড়াটে বাসায় নিয়ে আসেন। এরপরও দুজনে ঝগড়া বন্ধ হয়নি।
গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাজমা বেগম ও বাদল মিয়ার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাদল নাজমা বেগম ও তার আগের সংসারের এক ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। চিৎকার শুনে বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে কুলসুম বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। আশেপাশের লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাজুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত স্বামী কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। থানা পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন