শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

কর্মহীন শিল্পীদের পাশে মাহবুব আমিন মিঠু

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাহবুব আমিন মিঠু সংস্কৃতির সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছেন। গড়ে তুলেছেন ঢাকার উত্তরায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি’। এই একাডেমির পরিচালক তিনি। ‘সুস্থ সাংস্কৃতিক শিক্ষার লক্ষ্যে’ ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কয়েকজন শিল্পী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর সম্মিলনে কন্ঠ সংগীত, নৃত্য, তবলা, গীটার, অংকন, আবৃত্তি ও অভিনয় এবং পরবর্তীতে বেহালা, বাঁশি, সেতার ও আধুনিক নৃত্য মোট ১১টি বিভাগের সমন্বয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলির নামনুসারে ‘গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমী’ উত্তরায় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সংগঠনটি ১৬ বছরে পা দিয়েছে। এ ক’বছরে সংগঠনটিতে যোগ হয়েছে অনেক নতুন সংযোজন। তার মধে সবচেয়ে বড় সংযোগ প্রতিবছর এখান থেকে তিনজন গুণী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিকে ‘গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক বিশেষ সংবর্ধণা প্রদাণ করা হয়। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া সংগীতশিল্পী, বাদ্যযন্ত্রী, নৃত্যশিল্পীসহ সংস্কৃতিকর্মীদের গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি ধারাবাহিকভাবে উপহারসামগ্রী প্রদান করে আসছে। এ পর্যন্ত দুই শতাধিক সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে খাদ্য, অর্থ ও করোনা প্রতিরোধ উপকরণ প্রদান করেছে তারা। এ ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি উত্তরার গীতাঞ্জলি একাডেমি ভবনে সংস্কৃতিকর্মীদের উপহারসামগ্রী প্রদান করেন ব্যবসায়ী শহিদুল আলম বিদ্যুৎ। এ কার্যক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, উত্তরা জোনের পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবালসহ আরও অনেকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মাহবুব আমিন মিঠু মনে করেন, ‘সাংস্কৃতিক শিক্ষা শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি পারফরমিং আর্ট। শিক্ষার্থীরা একাডেমি থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করে তা প্রয়োগের জন্য অবশ্যই একটি প্ল্যাটফর্ম লাগবে, যা কিনা তাদেরকে দর্শক শ্রোতার কাছাকাছি নিয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে গীতাঞ্জলি তাদের কৃতি শিক্ষাথৃীদের নিয়ে নিয়মিত উন্মুক্ত মঞ্চ, বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টেলিভিশনে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা, একুশে য়েব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ, নজরুল ও রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। গীতাঞ্জলির এই সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের লক্ষ্য সারাদেশের সাংস্কৃতিক জাগরণের পাশাপাশি রাজধানীর উত্তরাকে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সমৃদ্ধশালী করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন