মেয়েটির বোরকা খোলার চেষ্টা করে রহিমসহ তার বন্ধুরা। এর মধ্য থেকে রহিম মেয়েটির মুখে চুমু দিয়ে অশ্লীল আচরণ করে, খারাপ কথা বলে। সে সময় ধারণ করা ভিডিওটি ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাশবনে ঘুরতে আসা তরুণীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের পক্ষে সাফাই দিয়েছে প্রধান অভিযুক্ত রাহিম। এতে সে নিজেই জানিয়েছে শ্লীলতাহানির শিকার তরুণীটি ছিল প্রতিবন্ধী।
বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত রাহিম ফেসবুক লাইভে বলেন, ভিডিওটি ৭/৮মাস আগের। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। তবে ভিডিওতে আমার খারাপ দিকটিই তুলে ধরা হয়েছে। রহিম তার বক্তব্যে আরো বলেন, মেয়েটি একটি ছেলের সাথে এসেছিলো। তাদের সাথে আমি কথা বলেছিলাম। জানিয়েছিলো, সদরের উলচাপাড়ার দিকে বাড়ি। আমরা যদি এগিয়ে না যেতাম মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হতো। মেয়েটি আত্মহত্যা করতো, তখন এর দায়ভার কে নিতো? মেয়েটি প্রতিবন্ধী ছিল। তার পায়ে সমস্যা ছিল।
এদিকে, পুলিশ রাহিমকে আটক করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ওই শ্লীলতাহানির শিকার ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতেও কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাদের গ্রুপ ‘উইশ ফর বেটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া’য় একটি ভিডিও পোষ্ট করে। ওই ভিডিওতে শ্লীলতাহানির শিকার তরুণীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কালো বোরকা পরিহিত এক তরুণী জেলা শহরের পুনিয়াউটের কাশবনে বেড়াতে যান। সেখানে তাকে ৩/৪জন ছেলে উত্ত্যক্ত করছে। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় তরুণী তাদের পায়ে ধরে বড় ভাই ডেকে কাকুতিমিনতি করে। কিন্তু ওই যুবকরা তবুও তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন