পঞ্জিকার পাতায় এখন শরৎ ঋতু শেষের দিকে। বৃষ্টিবাহী মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে প্রায় মধ্য-আশি^নে এসেও। এ বছর মৌসুমী বায়ুর আগমন জুনের প্রথম সপ্তাহের পরই। বেশ আগেভাগেই। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুরে ৪৪৭ মিলিমিটার। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড। তবে এ সময়ে খুলনা বিভাগে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টি ঝরেছে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি। এসব বিভাগের কোন কোন জেলায় বৃষ্টিপাত হয়নি। চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, রংপুর বিভাগে অতিবৃষ্টি ঝরেছে। এ সময় রাজারহাটে ২৮৩, সৈয়দপুরে ১৭৪, দিনাজপুর ও ডিমলায় ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, এ সপ্তাহে বর্ষণ কমে গিয়ে ফের বেড়ে যেতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৫ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩০.৯ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৩২.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন