কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় চলছে বোরো ধান কাটা মাড়াই। কৃষকরা তাদের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন এখানকার বোরো চাষীরা। কেননা ৪-৫ ঘন্টায় জেলায় ১শ ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে জমিতে থাকা পাকা ধান,মাড়াই করা ধান ও খড় পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ মে) কুড়িগ্রামে ৫ ঘন্টায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে শত শত বিঘা জমির পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান কাটতে ব্যস্থ সময় পার করছেন। অনেকের আবার মাড়াই করা ধান ও খড়ও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে আবার ভারী বর্ষণের ফলে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের শুলকুর বাজার এলাকার নির্মাধীন সেতুর বিকল্প রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন এই রাস্তায় যাতায়াতকারী শত শত মানুষ।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলা ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কাঁচিচর এলাকার শহিদুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, আমি ২বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। ফলনও খুবই ভালো হয়েছে এবং ধান পেকে গেছে। কিন্তু আজ বৃষ্টিতে ১ বিঘার জমির পাকা ধান সম্পন্ন পানিতে তলিয়ে গেছে। কামলা নিয়ে ডুবে যাওয়া ধান কাটছি। না কাটলে তো পঁচে যাবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবুর হোসেন জানান, আজ কুড়িগ্রামে ৪-৫ ঘন্টার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১শ ২৬ মিলিমিটার। আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন