সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। উৎপাদনকারী কৃষকরা এসব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি বাড়িয়েছেন। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ বেড়েছে। দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজারে এলে মূল্য আরও কমে আসবে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দেশব্যাপী ট্রাক সেলের পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রি করছে। এতে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে প্রতি কেজি ৩০ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির পরিধি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
চাহিদা মোতাবেক বাজারে পেঁয়াজের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ দেশব্যাপী স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ, পরিবহনসহ সকল ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পেঁয়াজের অবৈধ মজুত বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে সরকার প্রচলিত আইনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন